দায়িত্বে অনিয়ম হলে পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ইসি সচিব
তারিথ
: ২০-১১-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, এবার সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে হবে, কোনো পর্যবক্ষেক সংস্থা দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। পাশাপাশি নির্বাচনী নীতিমালা অনুসরণ করে দায়িত্ব পালনে পর্যবেক্ষকদের সতর্ক থাকার নিদের্শনা দেন ইসি সচিব। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, পর্যবেক্ষকের আচরণ হবে নিরপেক্ষ। এমন কোনো ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ দেবেন না, যাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। এমন কোনো কাজ করবেন না, যেটার জন্য আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ভ-ুল হতে পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এমন কিছু করবেন না যেন নীতিমালা ভঙ্গ হয়, নীতিমালা ভঙ্গ করলে আপনাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। ভোটের দিন পর্যবেক্ষকরা গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা আপনাদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন কিছু বলার জন্য। আপনি গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে পারবেন না, কোনো কমেন্ট করতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা কোনো লাইভ প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না, কোনো ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না। এমন কিছু করতে পারবেন না যেন মনে হয় তিনি কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। পর্যবেক্ষকদের আচরণ নিরপেক্ষ হবে। ভোট কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের কাজ সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, তিনি শুধু দেখবেন, পর্যবেক্ষণ করবেন। পর্যবেক্ষণ সংস্থা রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করবেন না। শেষ হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন ও রিপোর্ট কমিশনে জমা দিতে পারেন। রাষ্ট্রীয় সংস্থার কোনো সদস্যকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবেন না জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, একটা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন থাকবে দুইজনের কাছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ ইনচার্জের কাছে। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে, কোনো গোপন কক্ষে যেতে, কাউকে নির্দেশনা দিতে এবং প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের কোন পরামর্শ দিতে পারবেন না বলেও জানান ইসি সচিব। যদি কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, সেটা তারা কমিশনকে বা সংস্থার নির্বাহী ব্যক্তিকে অবহিত করতে পারেন। এবার নির্বাচনে ৪০ হাজার ২০০টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন করে পর্যবেক্ষক রাখার একটা নীতিমালা করা হবে বলে জানান তিনি। পর্যবেক্ষকদের বয়স ২৫ বছরের নিচে নয় এবং এসএসসি পাসের যোগ্যতা থাকতে হবে বলেও জানান হেলালুদ্দীন। এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্থানীয় নিবন্ধিত ১১৮টি সংস্থাকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ইসিতে আবেদন করতে হবে। আর বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করবে বলে আশা করছে ইসি। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে আগামি ২৫ নভেম্বর পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে আগামি ২২ নভেম্বর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্রিফ করা হবে বলে জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এস এম আসাদুজ্জামান।