পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ
তারিথ
: ২৭-১১-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক,ফাইল ছবি :
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের মজুরি এখনকার চেয়ে ৫১ শতাংশ বাড়ল। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৩০০ টাকা নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সেই হারে বেতন পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। নতুন বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা করার কথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তবে ওইদিন নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। নতুন করে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাতটি ও কর্মচারীদের জন্য চারটি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সপ্তম গ্রেডে নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার টাকা। এরমধ্যে মূল মজুরি চার হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া দুই হাজার ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা। শ্রমিকদের প্রথম গ্রেডে মজুরি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫১০ টাকা। শিক্ষানবিশ শ্রমিকরা মাসে সর্বসাকুল্যে পাঁচ হাজার ৯৭৫ টাকা পাবেন, শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। অন্যদিকে পোশাক শিল্পের কর্মচারীদের চতুর্থ গ্রেডে আট হাজার ৩৭৫ টাকা ও প্রথম গ্রেডে ১৪ হাজার ৭৫ টাকা নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মচারী মাসে সব মিলিয়ে ছয় হাজার ১৬৪ টাকা পাবেন, শিক্ষানবিশকাল হবে ছয় মাস। পোশাক শ্রমিকরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১৪ হাজারে ৬৩০ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৫৯০ টাকা, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ২৪৫ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৫৫ টাকা ও ষষ্ঠ গ্রেডে ৮ হাজার ৪০৫ টাকা পাবেন। অন্য পোশাক কর্মচারীরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১১ হাজার ৩০০ টাকা ও তৃতীয় গ্রেডে ১০ হাজার ৭৭৫ টাকা নূন্যতম মজুরি পাবেন। সব গ্রেডেই মূল মজুরি ও বাড়ি ভাড়া ভাতা ছাড়াও নূন্যতম মোট মজুরির মধ্যে ৬০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৩৫০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও ৯০০ টাকা খাদ্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গেজেটে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিককে এই নূন্যতম মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া যাবে না। এই মজুরির চেয়ে বেশি হারে মজুরি দিলে তা কমানোও যাবে না। শ্রমিকরা প্রতি বছর মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। মালিকরা এ সুবিধা দিতে বাধ্য থাকবেন বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।