সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মোবাইল ফোনের এসএমএসে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিধি ভেঙে আগাম প্রচার, বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর মধ্যেই ২৬ নভেম্বর এ বৈঠক করতে যাচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। কমিশনের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন জানান, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বৈঠক করবেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হলে আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা। আইন অনুযায়ী তার আগে ভোটের প্রচারের সুযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, বিশেষ করে ফেইসবুককে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো হচ্ছে। ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা দলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার ঠেকাতে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপের একটি পরিকল্পনা কমিশনের ছিল। কিন্তু সমালোচনার শঙ্কা ও কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে ইসিকে জনসচেতনতা তৈরির তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।