সামাজিক শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহাসিক বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি আজ রাজধানীর সবুজবাগে অবস্থিত ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের মোকাবেলায় প্রগতিশীল চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় গুরু সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
এতে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বক্তৃতা করেন।
‘বিশ্ব দরবারে বর্তমানে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হিসেবে পরিচিত এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি ঐতিহ্যগতভাবেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মিলিত রক্ত স্রোতের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এদেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করছে। ধর্মেরভিত্তিতে এখানে কোনো ধরনের বঞ্চনা বা বিভক্তির সুযোগ নেই। যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
‘বৌদ্ধ ধর্মকে জ্ঞানের ধর্ম উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সংঘের অধীন ধর্ম ও জ্ঞান চর্চা করে বৌদ্ধ দর্শন ও চিন্তাকে সমাজে ছড়িয়ে দেন। তারা যুগে যুগে সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মানবতার সেবায় গৌরবময় বাতিঘর হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।বৌদ্ধ ঐতিহ্য বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছর ধরে মিশে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।’
উল্লেখ্য, কঠিন চীবর দানোৎসব বৌদ্ধ ধর্মীয় সংস্কৃতির এক অনন্য সাধারণ পর্ব। এর মাধ্যমে ধৈর্য ও সাধনার এক বিশেষ প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।