পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে: ইসি সচিব
তারিথ
: ২২-১১-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশ অন্যতম একটি সংস্থা। আমরা আশা করি, তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ সভায় গতকাল বৃৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন ইসি সচিব। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। দেশবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। পুলিশের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামি ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার জন্য রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সম্পর্কিত আইন বিধি-বিধান, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ইতোমধ্যে সময়ে সময়ে জারি করা হয়েছে। আরো অনেক নির্দেশনা জারি করা হবে। নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে ইতোমধ্যে সকল রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদেরকেও ব্রিফিং করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনার্থে সারাদেশে ৬’শ এর উপরে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আগামি ২৪, ২৫, ২৬ তারিখে তাদেরকেও ব্রিফ করা হবে। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনআইডি উইংয়ের ডিজি, ইসির অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক, মেট্রোপলিটনের কমিশনারসহ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও এখন ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন না: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গত বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, পুরনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা না থাকলেও নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কেউ কোনো ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তাহলে আচরণ বিধির লঙ্ঘন হবে। নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সংসদ উপনেতাসহ অন্যরা নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা অনুদান বা সহায়তা দিতে পারেন না। বর্তমান ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তবে তিন মাসের ক্ষণ গণনা শুরু হলে সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সংসদ অকার্যকর থাকলেও মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়মিতই হচ্ছে এবং এটাকে সরকারের রুটিন কাজ হিসেবেই বর্ণনা করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, ক্ষমতাসীনরা সরকারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে নানাভাবে প্রভাব সৃষ্টি করছেন, যা নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পথে অন্তরায়। নির্বাচনী আইন ব্যাখ্যা করে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, যেসব প্রকল্প আগেই নেওয়া হয়েছে, সেগুলো চালিয়ে নিতে আইনে কোনো বাধা নেই। ভোটকে কেন্দ্র করে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকা-, ভিজিডি প্রদান বা টিন (ঢেউ টিন) দেওয়া, ভিজিএফ কার্ড দেওয়া, মানুষকে সহযোগিতা করা- এগুলো যাতে না করা হয়। আগে নেওয়া কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর এখন স্থাপন করা যাবে কি না জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, কোনো প্রকার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা যাবে না। চাঁদা দেওয়া, মসজিদ, মন্দিরে চাঁদা দেওয়া- কিছুই করা যাবে না।