আসন্ন ২০১৯ সালের হজ পালনের জন্য আগামি ১৩ ডিসেম্বর হজের চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, সৌদি আরবে পরিবহন, আবাসনসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বাড়তি টাকা গুণতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনস্থ বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা-২০১৮’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি। সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের হজ পালনের জন্য আমাদের চুক্তি এবার একমাস আগে হবে। আগামি ১৩ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদ অথবা জেদ্দায় এ চুক্তিটি অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আমাদের হজ নীতিমালা প্রায় চ‚ড়ান্ত। আগামি জানুয়ারিতে এ নীতিমালা উপস্থাপন করা হবে। ২০১৯ সালের হজ প্যাকেজে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বাড়তি টাকা গুণতে হবে। তবে কত টাকা বাড়তে পারে সেটি তিনি উল্লেখ করেননি। তিনি জানান, সৌদি আরবে পরিবহন ব্যয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয় বেড়েছে তাই আমাদের বাড়তি টাকা গুণতে হবে। একইসঙ্গে এবার আবাসনে দ্বিতল খাট ব্যবহার হতে পারে। যেটা পাকিস্তান এবং ভারতের হাজিদের জন্য ছিলো। এটা এবার বাংলাদেশিদের জন্যও মেনে নিতে হবে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, হজের আগেই যদি কোনো ত্রæটি থাকে সেটার সমাধান আগেই করতে হবে। সব ত্রæটির সমাধান করতে হবে। হাজিদের যাত্রা নিরাপদ করতে হবে। সৌদিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় দিকেও দেখতে হবে। মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, দেশ থেকে অনেকে আগে হজে যেয়ে অপরাধে জড়ান। হজে যেয়ে অনেক সময় হাজিরা তাদের দ্বারা পকেট মানির শিকার হন। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েন সে হাজি। এ ক্ষেত্রে আপদকালীন ফান্ড করা যেতে পারে। আবার হজযাত্রার মাঝামাঝি সময়ে ফ্ল্যাট জটিলতা থাকে। এটা যেনো না হয়, সেটাও দেখতে হবে। হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেদ্দা হজ অফিসের কনসালটেন্ট এফ এম বোরহানউদ্দিন, বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) শেখ মুজিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর হজদলের সমন্বয়ক মেজর জায়েদুল আলম, হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হজ গাইড, হজ এজেন্সির কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।