কে এ তানিস :
যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ মাঠজুড়ে আগুন লেগেছে। বিকেলের ‘কন্যাসুন্দর’ আলোয় হলুদ ফুলগুলোর রূপ যেন আরেকটু খোলে। মিষ্টি বাতাসে দুলে দুলে ওঠে ফুলের ডগা।
সরিষা ফুলের রাজ্যে
রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু সময় করে হলুদের রাজ্য থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সরিষা ফুলের হলদে সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ঢাকার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন চমৎকার সব সরিষা ক্ষেত।
ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটুন যেন ফুল নষ্ট না হয়
কেরানীগঞ্জ হয়ে দোহার নবাবগঞ্জের দিকেও ঢুঁ মারতে পারেন। নরসিংদী বা আমিনবাজার পার হয়ে মানিকগঞ্জেও এখন সরিষা ফুলের মুগ্ধতা।
কেরানীগঞ্জ :
কেরানীগঞ্জের গ্রামগুলোতে পাবেন সরিষা ক্ষেত। তবে এখানে মাইলের পর মাইল সরিষা চাষ হয় না। কেরানীগঞ্জের অবস্থান ঢাকার ভেতরেই। প্রথমে যেতে হবে মোহাম্মদপুর। এখান থেকে বসিলার বাসে উঠে নামবেন আঁটিবাজারে। এখানে অটো পাবেন। তাদেরকে সরিষা ক্ষেতে যেতে চান বললেই নিয়ে যাবে। তবে অবশ্যই স্থানীয় কারও অটোতে উঠবেন। এখানে বাংলানগর, রোহিতপুরে ইত্যাদি গ্রামে আছে সরিষা ক্ষেত।
নরসিংদী:
দিগন্তজোড়া সর্ষে ক্ষেতের জন্য ইতোমধ্যেই নরসিংদীর চান্দেরপাড়া ভ্রমণকারীদের নজর কেড়েছে। ঢাকা থেকে গেলে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো। যাওয?ার পথটাও সহজ। গুলিস্তান বা মহাখালী থেকে নরসিংদীর বাসে উঠুন। নরসিংদী নেমে রিকশা নেবেন সাটিরপাড়াা, রজনীগন্ধার মোড় পর্যন্ত। এখান থেকে ইজি বাইকে চান্দের পাড়াা। যেতে যেতেই দূর থেকে চোখে পড়বে হলুদ রং এর ক্ষেতগুলো। এত ফুল যে আপনি ডুবে যাবেন নিশ্চিত। আর সর্ষে ডুব শেষে ঘুরে আসতে পারেন মেঘনা নদীতে নৌকায?।
ধামরাই:
সরিষা ফুলের সোনালী একটি বিকেল পেতে চলে যান ধামরাই। গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলি যে কোনো জায়গা থেকে উঠুন সাভার ধামরাই এর বাসে। ধামরাই থেকে লেগুনায় ইসলামপুর। এখানেই দেখা মিলবে সরিষা ফুলের।
|