সিরাজুল ইসলাম জীবন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে গড়ে উঠেছে একটি নয়নাভিরাম ও অর্থকরী বহুমুখী খামার। ওই খামারের নাম ‘এমএজি এগ্রো ফার্ম লিমিটেড’। শিবপাশা গ্রামের জনৈক খালেদ চৌধুরী অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেড়িয়ে গড়ে তোলেছেন এ খামার। ওই খামারে মৎস, হাস-মুরগী, গরু, সবজি ও ফলমূল চাষ করায় আসতে শুরু করেছে সফলতা। শিবপাশা গ্রামের ৩০ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এ বহুমুখী খামার। ২০১৪ সালে শুরু করা হয়েছিল খামার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম। মাত্র ৪ বছরে খালেদ চৌধুরীর মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে একটি আদর্শ খামারে পরিণত হয়েছে এমএ জি এগ্রো ফার্ম। তার খামারে রয়েছে ১৪ টি পুকুর। ওই পুকুরগুলোতে চাষ করা হয় তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, গ্রাসকার্প, মৃগেল, চিতলসহ নানা জাতের মাছ। পোনা মাছ সংরক্ষন ও বিক্রির জন্য তিনি গড়ে তোলেন কেটি হ্যাচারীও। পুকুরের পাড় জুড়ে রয়েছে ৪০০ পেয়ারা গাছ। বড় বড় সুস্বাদু পেয়ারার ফলন খামারে নিয়ে এসেছে অভিনব মাত্রা। পেয়ারা ছাড়াও রয়েছে পেপে, আঙ্গুর, চালকুমড়া, ঝিংগা, কলাসহ নানা রকম সবজি ফলমূল। নানা জাতের হাস মুরগী এমনকি গরুও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পালন করা হয় এ খামারে। খালেদ চৌধুরী তার খামারে ভবিষ্যতে আরো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চান। আর সেজন্য তার সরকারী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান দৈনিক প্রভাতী খবরকে। তিনি বলেন সরকারী সহযোগিতা পেলে তিনি তার এ প্রকল্পকে আরো আধুনিক ও লাভজনক হিসেবে গড়ে তোলতে পারবেন এবং অনেক বেকারত্ব যুবকদের কর্মসংস্থানও হবে। তাই সরকারের বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এই এমএজি এগ্রো ফার্মের মতো আরো খামার গড়ে উঠার রয়েছে উজ্জল সম্ভাবনা। সরকারী সহায়তা ও উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে খামার ও কৃষি ক্ষেত্রে ঘটতে পারে যুগান্তকারী বিপ্লব।
|