হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় আইএসের টুপি পরা অবস্থায় দেখা যায়। রিগান ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের মাথাও আইএসের টুপি দেখা গেছে।
তাদের টুপি পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পর কীভাবে আসামিদের মাথায় এ ধরনের টুপিটা এল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।
এদিকে রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিরা আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর বলে ওঠে। তারা আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলে, আমাদের বিজয় খুব শিগগিরই।
রাকিবুল হাসার রিগ্যান এজলাসে বসা অবস্থায় টুপি পরা ছিলেন। তবে ওই টুপিতে আইএসের লোগো ছিল না। রায় ঘোষণার পর বের হওয়ার সময় তার মাথায় আইএসের টুপি দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় আল্লাহ হু আকবার, আল্লাহ হু আকবার বলে স্লোগান দেয়। এ রায় অন্যায়, এ রায় মানি না বলেও চিৎকার করে।
আইএসের টুপি পরে আদালতে আসার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি। এই দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।
আসামিপক্ষের আইনজীবী দোলোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে আসছে সেটা আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো : হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবির নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। আট আসামির মধ্যে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড়ো মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় পড়ার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।