শ্রাবণের এই মৌসুমে গ্রামের জমিগ্রলো থৈ থৈ করে পানিতে। কিন্তু এবার পুরো বর্ষা মৌসুমেও পানি নেই। ভরা শ্রাবণের এই কদিনে এলাকায় কোন পানির দেখা মিলছে না। একদিকে আউশ নিয়ে যেমন উৎকন্ঠায় আছে কৃষকরা তেমনি আমনের বীজতলা ও চাষযোগ্য জমি নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় শ্রাবণের ভরা বর্ষা মৌসুমে বিরাজ করছে খরা এবং পানি সংকটে কৃষকরা। আমন আবাদ নিয়ে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের কৃষকরা খুবই উদ্বিগ্ন। উপজেলার তেজাপাড়া গ্রামের সোলাইমান আলী, আশরাফ হোসেন, বাবু আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন বীজতলা প্রস্তুত হয়ে গেলেও পানির অভাবে বীজ রোপন করতে পারছে না অনেকে। আবার অনেকে আগাম বীজতলায় আমনের ধান ছিটিয়ে চারা উঠে গেলেও পানির অভাবে চারাগুলো হলদে হয়ে যাচ্ছে। গত ১৯জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা যায়। কোলা গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমনের আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন এজন্য প্রায় ৫শতক জমিতে বীজতলাও তৈরী করেছেন। প্রতি বছর শ্রাবণের শুরুতেই তিনি আমন রোপন শুরু করেন। কিন্তু এবার জমিতে পানি না থাকায় আমন রোপন করতে পারছেন না। আবার বীজতলাও এখন হুমকির মূখে। জিধিরপুর গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দীন বলেন, এখন আমন রোপনের ভরা মৌসুম কিন্তু পানি না থাকায় আমন রোপন করা যাচ্ছে না। বীজতলাও বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। তবে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপগুলো চালু করে পানির ব্যবস্থা করতে পারলে সময় মতো আমন আবাদ করা যাবে। তবে অনেক খরচ বেড়ে যাবে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, বদলগাছী উপজেলায় এবার দশহাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু সময় মতো পানি না হওয়ার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। প্রকৃতির উপর নির্ভর না করে সেচের মাধ্যমে আমন আবাদ করতে পারলে সমস্যা হবে না। তবে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।