সহজে চাষযোগ্য, উৎপাদিত ফসলের খরচ কম, অধিকলাভ পাওয়ায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের গিলাঝুকি কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের কৃষকরা ঝুকছেন চিনাবাদাম চাষে। সরেজমিনে গেলে কৃষকরা জানান- তাদের এলাকার কৃষি জমি অম্লীয় শ্রেণীর মাটি হওয়ায় একই জমিতে ধান ও বাদাম চাষ হয়। আমন মৌসুমে তারা আমন ধানের পাশপাশি কিছু জমিতে বীজ বাদাম ও ইরিবোরো মৌসুমে শুধু মাত্র বাদামের চাষ করা হয়। উৎপাদিত সুস্বাধু ৩/৪ দানার বাদাম গ্রাম থেকেই বিক্রি হয়। ঐ এলাকার বাদাম রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হয় বলে কৃষকরা জানায়। কুষ্টিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক বাবর আলীর পুত্র মোঃ আঃ রশিদ জানান- চিনা বাদামের জন্য কুশদহ ইউনিয়নের মাটি উপযোগী হওয়ায় মৌসুমে বিঘাপ্রতি প্রায় ১০ মন পর্যন্ত বাদাম উৎপন্ন হয়। মৌসুমে বাদাম ১৮শ টাকা ২৫শ টাকায় দাম পাওয়া যায়। সেখানে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে ভাল লাভ হওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহী উঠছে এলাকার কৃষকরা। একই গ্রামের মালু শেখের পুত্র মোঃ হাবলু শেখ জানায়- শুধু মাত্র কৃষি অফিসের পরামর্শে কোন প্রশিক্ষন ছাড়াই তিনি কয়েক বছর যাবত বাদাম চাষ করছেন। বাদাম চাষে এলাকার কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষন প্রদান করা হলে বাদামের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান- উপজেলায় প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। কুশদহ ইউনিয়নের বাদাম চাষীর সংখ্যা বেশি। তাদের বাদাম চাষের সফলতায় আশেপাশের ইউনিয়নগুলিতেও বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে বাদাম চাষীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হচ্ছে এবং সহায়তা অব্যহত থাকবে।