সুনামগঞ্জের হাওরে পানির অভাবে বোরো আবাদে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গত বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর পানির অভাব হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। দেখা গেছে, এবার সব জায়গায় অন্য বছরের মত প্রাকৃতিক পানি না থাকায় ডোবা ও নদী থেকে পানি নিয়ে সেচ দিচ্ছে অনেকে; কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। কোথাও কোথাও সেচযন্ত্র ব্যবহার করা হলেও তাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দেখার হাওরের’ হোসেন মিয়া বলেন, বোরো লাগিয়েছি কিন্তু পানির সংকট খুব বেশি। ঠিকমত পানি যদি না পাই তাহলে চারাগুলো বড় হবে না। এতে করে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। মেশিন দিয়ে পানি দেয়ার সামর্থ্য আমার নাই। দেখার হাওরে তিন একর জমিতে বোরো চাষ করছেন এমন এক কৃষক বলেন, মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছি। কিন্তু এতে আমাদের যা খরচ হয় তা অনেক বেশি। যদি ধান ভালোমত হয়ও, তবুও লাভের মুখ দেখব না। হাওরে পানি নাই। তাই আমাদের এখন সেচই একমাত্র ভরসা। কিন্তু এটাও কয় দিন দিতে পারব তার ঠিক নেই। করচার হাওরের লালপুর এলাকার আরেক কৃষক বলেন, আমাদের এখানে কোনো টিউবওয়েল নাই। যদি সরকার থেকে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে সেচ দিতে পারব। কিন্তু এই সংকট যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরা ছাড়া আর রাস্তা থাকবে না। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহমদ বলেন, গত বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। তাছাড়া পানি তাড়াতাড়ি নিষ্কাষিত হওয়ায় এ বছর পানির অভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে সেচযন্ত্র বসানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ জেলায় এ বছর ১১টি উপজেলায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদেরর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।