ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ব্যাপক সরিষার আবাদ করা হয়েছে।বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাঠে মাঠে এখন হলুদের গালিচা।যে দিকে চোখ যায় এ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য।সরিষা ফুলের মৌ মৌ করা গন্ধ ,মৌমাছির গুঞ্জন ও পাখপাখালির কিঁচিরমিঁচির ডাকে পল্লীপ্রকৃতির চিরচেনা রুপ সবাইকেই আকর্ষন করে।
গ্রামের মাঠ ছাপিয়ে গ্রাম্য সড়ক ও মহাসড়কের পাশেও চোখে পড়ছে সরিষা ফুলের মনোরম দৃশ্য। পড়ন্ত বিকেলে অস্তগামী সুর্য্যরে সাথে হলুদ সরিষার চাদরের প্রান্তজুড়ে অনেকেই এ দৃশ্য সেলুলয়েডের ফ্রেমে বন্দী করে রাখছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে,বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ করা হয়েছে।কৃষকরা এখন সরিষার পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন।এ সময় সার,নিড়ানি দেওয়াসহ পোকামাকড় দমনের জন্য কিছুটা বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে চলতি বছর ভাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮৫ হেক্টর। এলাকার মাটি ওআবহাওয়া সরিষা আবাদের জন্য যথেষ্ঠ অনুকুল। ,কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা এবং সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে তারা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এলাকার কৃষকরা জানান,বেশীর ভাগ কৃষক বারী-১৫,বারী-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামের কৃষক সিরাজ মাতুব্বর জানান তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন;হলুদ সরিষায় ক্ষেত ভরে উঠেছে,তিনি সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।উপজেলার তুজারপুর গ্রামের কৃষক মাইনদ্দিন ফকির,রুহুল ফকির, জানান,আমরা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি, আবহাওয়া ভাল থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি। একইভাবে কথা হয় উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের কৃষক আমির হোসেন ও রশিবপুরা গ্রামের কৃষক কামাল মিয়ার সাথে।তারাও এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোল্লা আল মামুন বলেন, চলতি বছর উপযুক্ত মাটি ও অনুকুল আবহাওয়ার কারনে কৃষকদের জমি সরিষার ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকি,পরামর্শ,সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে আশা করছি এ বছর কৃষকরা সরিষার বাম্পার ফলন পাবেন। তিনি বলেন।