শার্শা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য প্রতি হেক্টরে সাড়ে চার মেট্রিকটন, কিন্তু শার্শায় এ বছর ছয় মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকার চাষিরা গ্রামের সংবাদকে বাম্পার ফলনের খবর দিয়েছেন। উপজেলার টেংরা গ্রামের চাষি মোত্তাজুর রহমান বলেন, এ বছর তিনি সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন।
দুই বিঘার ধান ইতোমধ্যেই ঘরে উঠেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি ।এক বিঘা জমিতে ৩০ মণ ধান হয়েছে।
এখন ধান ঘরে তোলার সময়। মাঠের প্রায় সব ধান পেকে গেছে। তবে কৃষি শ্রমিকের অভাবের কথা জানিয়েছেন অনেকে।
বারোপোতা গ্রামের আব্দুল মোমিন বলেন, এক বিঘা জমির ধান কাটা, বান্ধা ও মাড়াই-ঝাড়াই করতে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে এ বছর। গত বছর যা ছিল চার হাজার টাকার নিচে।
এ বছর শার্শায় দেশি ব্রি-২৮, ব্রি-৫০, ব্রি-৫৮, ব্রি-৬৩, ভারতীয় মিনিকেট ও শুভলতা ধানের চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার।
তিনি বলেন, উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮, সাত হাজার হেক্টরে মিনিকেট, শুভলতা ও বাকি জমিতে অন্য বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন হয়েছে।
বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা শিলাবৃষ্টি না হলে এ মৌসুমে শার্শায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলন হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে ক্ষেতের শতকরা ৮০ ভাগ ধান পাকলেই তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলার ১ নম্বর ডিহি ইউনিয়নে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনী প্লটের ধান কাটা শুরু হয়। তবে ঝড়বৃষ্টির আশংকায় অনেকে এর আগে থেকেই ধান কাটা শুরু করেছেন, সরেজমিনে দেখা গেছে।
এ বছর শার্শায় ২১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য থাকলেও ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার।