গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গোবিন্দগঞ্জে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছে। ভূট্টা বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকরা।আবহাওয়া অনুকুল ও আধূনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারনা করছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ভূট্টা মৌসুমে ১০টি ইউনিয়ন কাটাবাড়ী, সাপমারা,দরবস্ত,গুমানীগঞ্জ,ফুলবাড়ী,তালুককানুপুর, রাখালবুরুজ, কোচাশহর,মহিমাগঞ্জসহ ১০টি ইউনিয়নের কৃষক লাভজনক ফসল ভূট্টা চাষ করেছেন।এবছর ইউনিয়ন গুলিতে মোট ২ হাজার , ৩শ’ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লাল মাটি (কাঠাল)ও চরাঞ্চলের মাটি ভূট্টা চাষের উপযুগি বলে এ অঞ্চলের কৃষক কম খরচে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় ভূট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।এই কর্মকর্তার মতে অর্জন কৃর্ত সংহ ভাগ ভূট্টা চাষ হয়েছে কাটাবাড়ীতে । উপজেলার কাটাবাড়ীর মালেকাবাদ গ্রামের কৃষক ও সাংবাদিক তাজুল ইসলাম প্রধান বলেন, লালমাটি এলাকার জমিতে ইরি-বোরো চাষে জন্য অনপযুগি তাই কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন মাড়াই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ঠ শ্রমিক মিলেনা। তার পর ধান নিয়ে বাজারে গেলে ন্যায্যমুল্য না পেয়ে পানির দামে বিক্রয় করতে হয়। তাতে উৎপাদন খরচেই উঠে না। সে ক্ষেত্রে ভূট্টা চাষের জন্য খরচও কম দামও বেশি ।এ জন্য আমরা ভূট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছি। আশা করছি ফলনও বাম্পার হবে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান,আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অন্যবারের তুলনায় এবার ভূট্টা চাষ বেশি হয়েছে। এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশায় নিয়োমিত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরার্মশ প্রদান সহ বিভিন্ন রোগবালাই দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরার্মশ দিয়ে আসছেন।