অলস জীবনযাত্রা নানান শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। আর শারীরিক কর্মকাÐ-হীন জীবন গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ হতে পারে কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দীর্ঘসময় বসে থাকার কারণে হতে পারে এমন কিছু রোগ সম্পর্কে এখানে জানানো হল। কার্পল টানেল সিনড্রোম: প্রতিনিয়ত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি মাত্র ২০ বছর বয়সেই। এর উপসর্গগুলো হচ্ছে- হাতে ব্যথা, অসাড় অনুভ‚তি, ঝিনঝিনি করা এবং দূর্বল অনুভব করা। কারণ হচ্ছে ‘মিডিয়ান নার্ভ’ বা হাতের মধবর্তী স্নায়ূতে বেকায়দায় চাপ পড়া। প্রতিরোধ: একটানা করতে হয় এমন হাত কিংবা কব্জির কাজ করার ক্ষেত্রে ঘন ঘন বিরতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে হাতের তালু ও আঙুল টানটান করতে হবে প্রতিদিন একধিকবার। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন মাউস বেছে নিতে হবে যা ব্যবহার করা আরামদায়ক এবং কব্জির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে না। দূর্বল পেশি: মানুষের শরীর তৈরি করা হয়েছে প্রচুর নড়াচড়ার উপযোগী করে, আছে ৩৬০টি জোড় এবং প্রায় সাতশ অস্থি-পেশি। তবে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকতে হয়, ফলে নিতম্ব ও উরুর পেছনের অংশের ‘হ্যামস্ট্রিং’ নামক পেশি শক্ত হয়ে যায়। সেখানে থেকে পিঠের নিচের অংশ ও পেটের পেশি দূর্বল হয়ে যেতে থাকে। প্রতিরোধ: কয়েক মিনিট পরপর বসার ধরন পরিবর্তন করতে হবে, প্রতি ঘণ্টায় একবার হলেও উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। মাঝে মধ্যে লিফ্টের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে। স্থূলতা: বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রেই খেতে হয় উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, যাতে প্রোটিন নেই বললেই চলে। কাজের প্রয়োজনে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে না হলে এত বেশি কার্বোহাইড্রেট আপনার প্রয়োজন নেই। প্রতিরোধ: বাসা থেকে খাবার নিয়ে যান যাতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। সেই সঙ্গে খাবারে পর্যাপ্ত চর্বি ও সবজি থাকাও নিশ্চিত করতে হবে। কুঁজো হয়ে যাওয়া: এখানেও দায়ি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা। অভ্যন্তরীনভাবে ঘুরে যাওয়া ঘাড়, তা থেকে পিঠ কুঁজো হয়ে যাওয়া, এগুলো দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে হওয়া সমস্যা। প্রতিরোধ: কম্পিউটারে কাজ করার সময় সামনে ঝুঁকে থাকা যাবে না। বসতে হবে আয়েশ করে, ঘাড় থাকবে নিতম্ব বরাবর।