দেখতে দেখতে শহুরে জীবনেও চলে এসেছে শীতের আমেজ। সকাল হলেই হিম হিম শীতের একটা চাদর যেন জড়িয়ে ধরে চারপাশ, আলসেমি আড়মোড়া ভাঙে দেহ-মনের আনাচে কানাচে। কিন্তু তবুও, ব্যস্ত নগর জীবনে একটু আলসেমি করার সুযোগ কই? সব ফেলে তাই আবারও ছুটে যেতে হয় জীবনের নানান গন্তব্যে। আজকাল সকালগুলোতে আজকাল আলসেমি লাগছে খুব? তাহলে জেনে নিন আলসেমি দূর করে আবারও প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠার কিছু টিপস।
উষ্ণ পানি সকাল সকাল ঠা-া পানি দিয়ে হাত-মুখ না ধুয়ে বেছে নিন উষ্ণ পানিকে। উষ্ণ পানির ব্যবহার সকাল সকাল আপনাকে সতেজ করে তুলবে। সারাদিন বাইরে থাকার পরিকল্পনা থাকলে সকালেই গোসলের পর্ব সেরে নিন। আলসেমি তো পালিয়ে যাবেই, দেহ-মন হয়ে উঠবে একদম ঝরঝরে। তবে হ্যাঁ, ঠা-া পানির ব্যবহারে কিন্তু আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে!
ঝরঝরে শরীর শীতের সকাল মানেই বিছানায় গড়াগড়ি, এমনটা ভেবে থাকলে খুব ভুল করছেন আপনি। বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে জেগে উঠুন সকাল সকাল। সেক্ষেত্রে শরীরটা আবারও ঝরঝরে করে তুলতে বেশ অনেকটা সময় পাবেন, পড়িমরি করে কর্মক্ষেত্রে ছুটতে হবে না। জেগে উঠুন সকাল সকাল, দেহ-মনকে চাঙা করতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেরে নিতে পারেন হালকা ব্যায়াম। সারাটা দিন ভালো কাটবে
পান করুন চমৎকার কিছু সকালটা শুরু হোক উষ্ণ কোন পানীয় পানের মাধমে। এক কাপ রঙ চা, গ্রিন টি, আধা গ্লাস দুধ, মধু চা, পুদিনা চা, আদা চা ইত্যাদি যে কোন কিছুই হতে পারে আপনার সঙ্গী। তবে হ্যাঁ, খালি পেটে নয় কিন্তু। চা পানের পুর্বে অবশ্যই বিস্কিট বা মুড়ির মত হালকা কিছু খেয়ে নিন। আর চায়ে এক চামচ মধু যোগ করলে তা আপনাকে ভেতর থেকে যোগাবে এনার্জি ও উত্তাপ।
নাস্তা হোক বিশেষ এত চমৎকারভাবে দিনের শুরু করছেন আপনি, এখন নিজের জন্যে একটু পুরস্কারের ব্যবস্থা না থাকলে কি চলে? শীতের মৌসুমে নাস্তায় আনা যায় হরেক রকমের বৈচিত্র্য। নানান রকম মৌসুমি সবজি দিয়ে ভাজি, সাথে রুটি-পরোটা-সবজি-ডাল ইত্যাদি তো আছেই। আরও থাকতে পারে হরেক রকমের পিঠা-পায়েস, মৌসুমি আরও নানান খাবার। সকালে চমৎকার একটি নাস্তা সারাদিন আপনার এনার্জি রাখবে অটুট।
প্রকৃতি সকাল সকাল সবুজ প্রকৃতির স্পর্শ মনের সকল কালিমা মুছে দেয়, শরীর থেকে মুছে দেয় ক্লান্তির ছাপ। বাড়িতে গড়ে তুলতে পারেন নিজের ছোট্ট একটি বাগান। শীতের ফুল ও সবজি দিয়ে ভরে তুলতে পারেন বারান্দাগুলো। সকাল বেলা খানিকটা সময় ব্যয় করুন এখানে, নিঃশ্বাস নিন বুক ভরে। নিজের বাড়িতে গাছপালা লাগাবার সুযোগ না থাকলে চলে যেতে পারেন কোন পার্কে। সবুজের মাঝে খানিকক্ষণ শরীরচর্চা না হয় সেরেই আসুন। কেবল বয়স হলেই নিজের শরীরের যতœ করতে হবে, এটি খুব ভুল কথা। নিজের পরিচর্যা করুন খুব অল্প বয়স থেকেই, সুস্থ থাকবেন বহুকাল।