আমরা সবাই জানি দাঁতের যত্নে টুথপেস্টের বিকল্প দ্বিতীয় কিছু নাই। ঝকঝকে দাঁত ও দুর্গন্ধমুক্ত মুখের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বিভ্ন্নি টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকে মানুষ। কিন্তু জানেন কী, এই টুথপেস্ট বা দন্তমাজন দিয়ে ত্বকেরও পরিচর্যা করা যায়?
টুথপেস্টে আছে এমন কিছু গুনাগুন, যা মানুষের ত্বকের জন্যও উপকারী। বাজারের নামী-দামি সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীও ত্বকের এমন উপকার করতে যারে না যা টুথপেস্ট থেকে পাওয়া যায়। তো আসুন জেনে নেই কিভাবে টুথপেস্ট দিয়ে পাবেন ত্বকের পরিচর্যা:
১. মেয়েদের মুখের ত্বকের প্রধান সমস্যা ব্রন। প্রচন্ড ধুলাবালির কারণে ছেলেদেরও ব্রনের সমস্যা হয়। এই সমস্যার প্রতিকার হয় টুথপেস্টে। ব্যথাযুক্ত ব্রণর ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকরী হয়ে থাকে এটি। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রনের উপর টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণর ফোলা ভাব অনেক কমে গিয়েছে আর ব্যথাও অনেক কম।
২. ধুলো-ময়লা, দূষণ, মেকআপ ইত্যাদির কারণে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে। ফলে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস। ব্ল্যাক হেডস-এর পূর্ববর্তী অবস্থা হল হোয়াইট হেডস। এতে লোপকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। যে সব জায়গায় এই হোয়াইট হেডস রয়েছে যেমন, নাক, কপাল, চিবুক— সে সব জায়গায় পুরু করে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগান। শুকিয়ে গেলে খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলুন। এরপর ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল মিলবে চমকে দেওয়ার মতো!
৩. শুধু যে বয়স বাড়লেই ত্বকে বলিরেখা পড়ে, তা কিন্তু নয়! অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণেও আকালে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। টুথপেস্টকে জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এবার মুখ, গলায়, ঘাড়ে এটির প্রলেপ লাগান। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পেস্ট শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এ ভাবে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে টুথপেস্টের জুড়ি মেলা ভার! বাইরে যাবার আগে যদি ত্বকের যত্ন নেবার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকে তাহলে ব্যবহার করুন টুথপেস্ট। সাধারণ ফেসওয়াসের মতোই টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ত্বক।