কলা কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। পুষ্টিবিজ্ঞানে কলার উপকারী দিকগুলো বহু আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসব তথ্য নিয়েই এই আয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কলা ট্রিপ্টোফান সমৃদ্ধ যা সেরোটোনিন’য়ের কাজ করে। মস্তিষ্কে সেরোটোনিন’য়ের অভাবে হতাশার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া নানান মানসিক সমস্যা যেমন- হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দেয়। ওজন কমাতে: কেউ যদি ওজন কমাতে চায় তাহলে সে খাদ্যাভ্যাসে কলা রাখতে পারেন। এই ফলে ৩ গ্রাম আঁশ, ১০০ ক্যালরি থাকে। তাই এটা নাস্তা হিসেবে খুব ভালো। ক্ষুধা মেটাতে ও খাবারের চাহিদা কমাতে দারুণ কাজ করে। তাছাড়া নিয়মিত কলা খেলে দেহে ১২ শতাংশ আঁশের চাহিদা পূরণ করে। মস্তিষ্কের জন্য কলা ভালো: কলা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এটা ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে শক্তি সরবারহ করে মনোযোগ বাড়ায়। হাড় শক্ত করে: কলা ক্যালশিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে। ফলে হাড় শক্ত ও সুস্থ রাখে। দৈনিক কলা খাওয়ার পরিমাণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আঁশের চাহিদা পূরণ করতে একটা কলা-ই যথেষ্ট। কলা হালকা খাবার হওয়ায় এটা শরীরচর্চার আগে ও পরের নাস্তা হিসেবে খাওয়া যায়। কলা পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। তাই স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি কলা রাখা উচিত।