আজকের প্রতিযোগিতাময় জীবনে বুদ্ধিমান না হলে টিকে থাকা দায়। তাই সব মা-বাবা চান তার সন্তান যেন বুদ্ধিমান হয়। শিশুর জন্মের পর থেকেই তার নানা স্বভাব ও অভ্যাসই বলে দিতে পারে সে আদৌ বুদ্ধিমান হবে কি না।
খুব একগুঁয়ে হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর কিন্তু একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, কোনো বিষয়ে একেবারেই একগুঁয়ে না হলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই প্রয়োজন। তাই সে অল্পস্বল্প একগুঁয়ে হলে নিয়ে বিরক্ত হবেন না।
এক বছরের আশপাশে পৌঁছলে তবেই শিশু দু’একটা শব্দ বলতে শেখে, দেড় বছরের মাথায় তা আরো স্পষ্ট হয়। যদি আপনার সন্তানের মধ্যে কথা বলতে শেখার প্রবণতা আরও তাড়াতাড়ি আসে, তা হলে বুঝতে হবে সন্তান বুদ্ধিমান। তার শেখার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি সক্রিয়।
অচেনা কারো সঙ্গে আপনার শিশু কি সহজেই মানিয়ে নিতে পারে? যদি তেমন হয়, তা হলে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনার সন্তান অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
শিশুদের বসতে শেখা, হামা দেওয়া, দাঁড়াতে শেখা- প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। আপনার সন্তান কি সেই সময়ে পৌঁছনোর কিছু আগেই শিখে ফেলছে সে সব? তা হলে তা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার অন্যতম লক্ষণ।
কথায় কথায় প্রশ্ন করে সন্তান উত্যক্ত করে আপনাকে? সব বিষয়েই কী কেনো, কীভাবে এ সব প্রশ্ন লেগেই থাকে সন্তানের মুখে? তাহলে বিরক্ত না হয়ে আনন্দিত হওয়া উচিত। কৌতূহলী শিশু মানেই, ধরে নেওয়া হয় তার বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে বেশি।
কিছু পেলে তা খুলে তার কল-কব্জা বার করে ফেলার প্রবণতা আছে যে শিশুর তারা অন্যদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে জিনিসের যত্ন জানে না ভেবে এতে বিরক্ত হবেন না। এপি।