তেঁতুলের নাম শুনে জ্বিভে জল আসবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকের ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই টক ফলটি শরীরের রক্ত পানি করে দেয়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে তেঁতুলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ই, বি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ডায়াটারি ফাইবার যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণই উপকারী। তেঁতুল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা শরীরে পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, তেঁতুল আকারে ছোট হলে কী হবে,গুণে সর্বগুণসম্পন্ন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তেঁতুলের নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে- ১.তেঁতুল একটি ফ্যাট ফ্রি খাবার। এতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবারও আছে। গবেষণায় প্রমাণিত রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে। তেঁতুলে থাকা hydroxycitric acid ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন কমে। ২.তেঁতুলের বীজ ডায়বেটিক রোগীদের পক্ষে উপকারী। তেঁতুল বীজে এমন একধরনের এনজাইমের দেখা মেলে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ৩.পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে সমাধানে তেঁতুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তেঁতুল টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও পটাশিয়ামের উৎস যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়ার সমস্যায় ভীষণ কাজ দেয়। এছাড়া তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেট ব্যথার মোক্ষম ওষুধ। ৪.তেঁতুল একাধিক ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার। ব্লাড প্রেসার, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেই কাজে লাগানো যেতে পারে তেঁতুলকে ৷ ৫.তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের পক্ষে ভীষণই উপকারী। কিডনি ফেইলিয়র এবং ক্যান্সার রোধেও তেঁতুলের ভূমিকা আছে। তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছালের অ্যান্টি সেপটিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালের গুণের জন্য ক্ষত সারাতে কাজে লাগানো হয় ৷ ৬.ব্রণ-অ্যাকনেতেও উপকারী তেঁতুল। মরা কোষ তুলতে ও ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে তেঁতুল। এছাড়া গবেষণায় দাবি করা হয়, তেঁতুল সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে ৷ ৭.রক্তস্বপ্লতাতেও উপকারী তেঁতুল। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা অ্যানিমিয়া নিরাময়ে কাজ দেয়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তেঁতুল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।