বেকিং সোডা, লবণ, নারিকেল তেল ইত্যাদি গৃহস্থালী উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায় মাউথওয়াশ।
দাঁত ও মাঢ়ির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় মুখের দুর্গন্ধ, ‘ক্যাভিটি’, ‘প্লাক’ জমা, ‘এনামেল’য়ের আস্তর নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার যে গুরুত্বপূর্ণ তা প্রত্যেকটি মানুষই জানেন, কিন্তু তা কতোটা মেনে চলেন তা নিজেকেই প্রশ্ন করে নিন। আর শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না, সঙ্গে চাই ‘ফ্লসিং’ ও মাউথওয়াশ। রোজার মাসে মাউথওয়াশের গুরুত্ব একটু বেশি। কারণ সেহেরি খাওয়া পর থেকে ইফতার পর্যন্ত দাঁত ব্রাশ করা যায় না এবং সকল প্রকার খাবার গ্রহন বন্ধ। যার কারণে মুখে বেশ বাজে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই সাবধানে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করে নিলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া থেকে বাঁচবেন। বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। তবে যদি ঘরেই বানিয়ে নেওয়া যায় তবে অযথা বাড়তি খরচের কি দরকার। স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অবলম্বনে কিভাবে তা তৈরি করবেন তা জানানো হলো। বেকিং সোডা: আধা চা চামচ বেকিং সোডা আধা গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিলেই একধরনের মাউথওয়াশ তৈরি হয়ে গেলো। দাঁত ব্রাশ করার পর কিংবা দিনের যেকোনো সময় শুধু এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী। পাশাপাশি এটি ক্ষারীয় প্রকৃতির হওয়ায় তা লালারসের অম্ল-ক্ষারের মাত্রা বাড়ায়। নারিকেল তেল: এই পদ্ধতির নাম ‘ওয়েল পুলিং’, যার জন্য চাই এক চা চামচ নারিকেল তেল, ‘ভার্জিন’ জাতীয় হলে বেশি ভালো। তেলটুকু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করতে হবে। পরে তেল ফেলে দিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে কুচি করতে হবে। মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদান অপসারণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে এই পদ্ধতি। দাঁতে ‘প্লাক’ জমাও রোধ করে। লবণ: লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এখানেও চাই আধা গ্লাস কুসুম গরম পানি আর আধা চা চামচ লবণ। একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই কাজ শেষ। বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশের মতোই কার্যকরী এটি। অ্যালোভেরা: আধা কাপ অ্যালোভেরা আর আধা কাপ ‘ডিসটিলড’ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার হয় এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতে ‘প্লাক’ জমা রোধ করে এবং মাঢ়ি থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে এই মিশ্রণ। দারুচিনি আর লবঙ্গের তেল: এক কাপ ‘ডিসটিলড’ পানিতে ১০ ফোঁটা দারুচিনির তেল আর ১০ ফোঁটা লবঙ্গের তেল যোগ করতে হবে। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং সাধারণ মাউথওয়াশের মতো করেই ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এই মিশ্রণ, তাই একসঙ্গে বেশি করে বানিয়ে রেখে দিতে পারেন।