নির্বাচনে অংশ নেয়ার সাহস বিএনপির নেই: ওবায়দুল কাদের
তারিথ
: ০৯-০২-২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখনও সেই অপরাজনীতিতে ব্যস্ত। তাদের মুখে জনপ্রত্যাশা শব্দটি মানায় না। জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করতে হলে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হয়। জনগণের প্রতি আস্থাশীল হতে হয়, জনমত যাচাইয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস থাকতে হয়। যা বিএনপির নেই এবং কখনো ছিলও না। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সার্চ কমিটি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমরা বিএনপির মর্মবেদনা বুঝি। রাজনীতির মাঠে চরম ব্যর্থতায় নিপতিত বিএনপি এখন নিজেদের হতাশা ও নিরাশার মাপকাঠিতে জনপ্রত্যাশা পরিমাপের ব্যর্থ চেষ্টায় নিমজ্জিত। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্চ কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। তারা প্রত্যেকেই আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। পেশাগত কাজের বাইরেও আপন কর্মের মহিমায় তারা স্বতন্ত্র পরিচিতি অর্জন করেছেন। সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও দেশপ্রেমিক বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে- সেটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র শক্তিই হলো জনগণ। জনপ্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই আওয়ামী লীগের সৃষ্টি এবং পথচলা। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধীদের স্বার্থ সংরক্ষণের শপথের মধ্য দিয়ে বিএনপির পথ চলা শুরু হয়। নতুন করে পাকিস্তানি ভাবধারার সামরিক স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয় বাঙালি জাতি। দেশদ্রোহী-জাতিদ্রোহী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই আবর্তিত হতে থাকে বিএনপি’র রাজনীতির গতিপথ। বিএনপি এখনও সেই অপরাজনীতিতে ব্যস্ত। তাদের মুখে জনপ্রত্যাশা শব্দটি মানায় না। জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করতে হলে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হয়। জনগণের প্রতি আস্থাশীল হতে হয়, জনমত যাচাইয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস থাকতে হয়। যা বিএনপির নেই এবং কখনো ছিলও না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব সময় দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে রাজনীতি করে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন, তখন বিএনপি নেত্রী কী আচরণ করেছিলেন দেশবাসী তা ভুলে যায়নি! সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য তখন বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়।