আজ (বুধবার) ১৭ এপ্রিল’২০১৯
(মুজিবনগর দিবস) মুজিবনগর দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের আ¤্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। স্বাধীন বাংলার প্রবাসী বিপ্লবী সরকারও বলা হতো এটিকে । মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আ¤্রকাননে বিপ্লবী সরকারের এ শপথ মুক্তিযুদ্ধে একটি রাষ্ট্রীয় গতি যোগ করে। জন্ম নেয় এক নতুন ইতিহাস। পাকিস্তানে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে গঠিত সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম । তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় আরো ছিলেন- কামরুজ্জামান, মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ। সেই সরকারের শপথ পাঠ করিয়েছেন আলীগ নেতা আবদুল মান্নান। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন চিফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী। নির্বাচিত সংসদ সদস্য তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এমএজি ওসমানী নিযুক্ত হন প্রধান সেনাপতি। আওয়ামী লীগ খুব গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিবছর দিবসটি পালন করে ।
(নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর মৃত্যু) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রথম প্রস্তাবক মুসলমানদের শিক্ষা, সংস্কৃতি স্বাধিকার ও রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টির অগ্রদূত নবাব সৈয়দ নওয়াব আলীর মৃত্যু দিবস আজ। ১৮৮৫ সালে নিখিল ভারত কংগ্রেস গঠনের সময় মুসলিম কমিউনিটির নেতৃত্ব শূন্যতায় বীরদর্পে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। জমিদারিত্বের জৌলুস তাকে প্রভাবিত করেনি। নিজের অর্থ, মেধা, শ্রম সব ব্যয় করেছেন অনগ্রসর মুসলমানদের কল্যাণে। ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরিকালেও এদেশের গরীব অশিক্ষিত মুসলমানদের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ভেবেছেন। তার রাজনৈতিক হাতেখড়ি শুরু হয় মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ও জেলা বোর্ডের সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯০৬ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন পূর্ববঙ্গ ও আসাম ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য। ১৯২১-২৩ ছিলেন ইন্ডিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য । ১৯১৪ সালে আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী হন তিনি। ১৯০৬ সালে গঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন নবাব নওয়াব আলী। সাহিত্যাঙ্গনেও ছিলো তার পদচারণা। ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল দার্জিলিং এর ইডেন ক্যাসেলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯১৫ সালের ১৭ই এপ্রিল এক যুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মত শ্বাসরোধক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানী / ফ্রান্স ও বৃটেনের বিরুদ্ধে ঐ গ্যাস ব্যবহার করে বহু সৈন্যকে হত্যা করে। গ্যাস যুদ্ধ নামে পরিচিত ঐ লাড়াইয়ে জার্মান বাহিনী বিজয় লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যুদ্ধে এ ধরণের রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা শুরু হয় এবং ঐ গ্যাস উৎপাদন ও বিস্তাররোধ সংক্রান্ত চুক্তিতে বেশ কয়েকটি দেশ স্বাক্ষর করে। নিষিদ্ধ হওয়া সত্তে¡ও বেশ কয়েকটি দেশ স্বাশরোধক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার অব্যাহত রাখে। যেমন ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার এবং ইরানের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা যায়।
১৯৪৬ সালের ১৭ই এপ্রিল সিরিয়া স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্ম প্রকাশ করে। বর্তমান সিরিয়া ও এর আশেপাশের এলাকাকে পূর্বে শাম নামে অভিহিত করা হত। ইসলামের আবির্ভাবের আগে শামের উপর যথাক্রমে ইরান, গ্রীস, মিশর ও রোমের প্রভাব ও দখলদারিত্ব বজায় ছিল। ইসলাম আবির্ভাবের কিছুকাল পর শাম অঞ্চল অর্থাৎ আজকের সিরিয়া মুসলিম শাসনের অন্তর্ভুক্ত হয়। সিরিয়া ছিল উমাইয়া শাসক গোষ্ঠীর প্রধান কেন্দ্র এবং পরবর্তীতে মিশর ও উসমানিয় শাসকদের নিয়ন্ত্রনে আসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং ওসমানিয় সা¤্রাজ্যের পতনের পর সিরিয়া ফরাসীদের দখলে চলে যায়। কিন্তু পরে সিরিয়ায় জাতীয়তাবদী আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং তারা স্বাধীনতার ডাক দেয়। ১৯৪৬ সালে সিরিয়া পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করে এবং বৃটিশ ও ফরাসী সেনারা সেদেশ ত্যাগ করে। সিরিয়া ভ‚মধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত এবং লেবানন, সিরিয়া, জর্দান, ইরাক, তুরস্ক ও অধিকৃত ফিলিস্তিনের সাথে এর সীমান্ত রয়েছে।
১৯৫৩ সালের এই দিনে কম্বোডিয়া ফরাসীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রতিবেশী দখলদাররা ১৫শ` শতাব্দী থেকে এমন সময় কম্বোডিয়ায় আগ্রাসন শুরু করে যখন খেমারুজ স¤্রাটদের ১১ শ` বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কম্বোডিয়ার বাদশাহ প্রতিবেশীদের হামলার হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য ফরাসীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়। কিন্তু ফরাসীরা ১৮৬৩ সালে কম্বোডিয়াকে সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ১৯৫৩ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত ফরাসীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্বাধীনতার পর কম্বোডিয়ায় ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সময়ে খেমারুজরা ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ব্যাপক দ্ব›দ্ব সংঘাতের পর শেষ পর্যন্ত ১৯৯৯ সালে কম্বোডিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফার্সী ১৩৬৫ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা কবি ও লেখক মোহাম্মদ আমিন শায়েখ উল ইসলাম পরলোক গমন করেন। তিনি ফার্সী ১৩০০ সালে পশ্চিম ইরানের একটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন ১৩২১ সালে একটি দৈনিকের লেখক পরিষদের সদস্য হন। ঐ দৈনিকটি স্বৈরাচারী রেজা শাহের বিরুদ্ধে গোপনে তৎপরতা চালাত এবং সরকারের বহু দুষ্কর্মের ঘটনা ফাঁশ করে দিত।
২০০৪ সালের ১৭ই এপ্রিল ইসরাইলের হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ফিলিস্তিনের অন্যতম শীর্ষ সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা আব্দুল আযিয রানতিসি মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন। হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেইখ আহমদ ইয়াসিন ইসরাইলের হামলায় শহীদ হওয়ার মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে রানতিসি হামাসের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। রানতিসি ১৯৪৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনের ইয়াফ শহরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মিশরের আলেকজান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর পড়ালেখা করেন। ড: রানতিসি ছাত্র জীবন থেকেই দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করেন এবং জীবনে বহুবার কারাভোগ করেছেন। হামাস দল গঠিত হওয়ার পর তিনি এ সংগঠনে যুক্ত হন এবং দলটির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন (১৭৮১) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ (১৭৯০) গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা (১৮৩৯) কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু (১৮৯৯) ইথিওপিয়ার দাস প্রথা বিলুপ্ত (১৯৩২) জার্মানদের কাছে যুগোশ্লাভিয়ার পরাজয় (১৯৪০) সিআইএ`র বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেড় সহ¯্রাধিক কর্মীর কিউবা উপসাগর নির্বাসিত কিউবান প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সরকারকে উৎখাতের ব্যর্থ অভিযান (১৯৬১) মহাকাশযানে সফলতার সাথে অক্সিজেন ট্যাক সংযোজনের ৪ দিন পর এ্যাপোলো-৪ এর নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন (১৯৭০) খেমাররুজ বাহিনীর কাছে রাজধানী নমপেন আত্মসমপণ । কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসান (১৯৭৫) ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণের মৃত্যু (১৯৭৫)
|