মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সুপ্রিয় দেশবাসী এবং সুধীবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।
আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়োপযোগী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন একটি অত্যাশ্চার্য্য আবিস্কার নিয়ে। আর তা হলো ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধক এবং ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে। ইদানিং ডেঙ্গুর প্রকোপে যখন সারাদেশবাসী আতংকগ্রস্থ, ঠিক এই মুহূর্তে সুদীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণা ও বাস্তব পর্যবেক্ষণ এবং বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আমি এই সফলতায় উত্তীর্ণ হয়েছি যে, হোমিওপ্যাথি শাস্ত্র অনুযায়ী সিম্পটমিক (ঝুসঢ়ঃড়সরপ) বিশেষ কিছু মেডিসিন প্রয়োগের ফলে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই পূর্ব হতেই যদি আমার গবেষণা লদ্ধ মেডিসিন প্রয়োগ করা যায় তাহলে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার কোন ঝুঁকি থাকেনা। আর পূর্ব হইতে যদি কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে ডেঙ্গু জ্বর হয়েই যায়। তাহলে ও চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার রিসার্সকৃত ডেঙ্গু জ্বরের মহৌষধ প্রয়োগের ফলে রোগী যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, ঐ অবস্থা হতেই রোগীর অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটবে। রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। ডেঙ্গুু জ্বর হলে রোগীর চষধঃবষবঃব দ্রুত কমতে থাকে, মাথা ঘোরা, বমি ভাব ও বমি, অরুচি, ক্ষুধামন্দা, খেতে না পারা ইত্যাদি উপস্বর্গগুলো দেখা দেয়। তাহা আমার এই ঔষধ প্রয়োগের ফলে খুব তাড়াতাড়ি দুরীভুত হয় এবং রোগী দ্রুতই সুস্থ্যতা লাভ করে। ডেঙ্গু রোগীর বিপদজনক অবস্থা হলো হেমোরোজিক অবস্থা। এই অবস্থায় রোগীর চোখ মুখ লাল, থমথমে ভাব, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, অনেক সময় বমির সাথে রক্ত আসা, ইন্টারনাল রক্তক্ষরন। এই অবস্থায়ও যদি সঠিক ভাবে আমার এই ঔষধ প্রয়োগ করা যায়, তাহলেও সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় (রহমতে) রোগী সুস্থ্য হয়ে উঠে। আমার এই সুদীর্ঘ পরিশ্রম ও গবেষণার ফসল যদি আমি লোকহিতার্থে জনগনের কল্যাণে ব্যাপক ভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলেই আমার জীবন স্বার্থক বলে মনে করব। ইতি মধ্যেই আমি মানিকগঞ্জ শহরে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী চিকিৎসা করে প্রায় ৯৯% সফল হয়েছি। তাই আমার এই আবিস্কার দ্বারা সমগ্র দেশবাসী তথা সমগ্র বিশ্ববাসীর সেবা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আমার এই আবিস্কারের সফলতা প্রমাণের জন্য আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুযোগ দেওয়া হোক। ডেঙ্গু রোগী যেখানে বেশী ভর্তি আছে সেই রকম বড় বড় কয়েকটি মেডিকেলে আমার ঔষধ প্রয়োগ করার সুযোগ দিয়ে ফলাফল যাচাই করা হোক। রোগী হসপিটালে ভর্তি থাকবে। হসপিটালের কেয়ারেই থাকবে, হসপিটালের যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাই দিবে, তাতেও সমস্যা নেই। ঐ চিকিৎসার সাথে শুধু মাত্র আমার ঔষধ প্রয়োগ করা হবে এবং বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যেখানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীকে শুধু মাত্র প্যারাসিটামল ব্যতিত কোন প্রকার অহঃরনরড়ঃরপ বা অংঢ়রৎরহ জাতীয় কোন ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না। আর এই কারণেই, রোগী খারাপের দিকে গেলেও তাকে বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করা সম্ভব হয় না। সেখানে আমার এই ঔষধ প্রয়োগের ফলে রোগী যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, সেই অবস্থা হতেই আরোগ্য লাভ করবে। এটাতো হবে অত্যাশ্চার্য্য ভাবে রোগীর নতুন জীবন ফিরে পাওয়া। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশের সমস্ত ডাক্তারবৃন্দ এবং সমগ্র দেশবাসির নিকট আমার আকুল আবেদন আপনারা সকলেই আমার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে পর্যবেক্ষণ করে, ফলাফল যাচাই করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিকট আমার এই আবেদন আপনারা আমার এই চিকিৎসার সফলতা প্রমাণ করার লক্ষ্যে আপনাদের নির্দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বড় বড় হসপিটালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় আমাকে সুযোগ দান করা হোক, সফলতার প্রমাণ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। যেখানে কয়েক হাজার ডেঙ্গু আক্রান্তরোগী রোগ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। অনেক রোগী মারাও যাচ্ছে। সেখানে এত ভাল একটা চিকিৎসা পদ্ধতি মানব কল্যাণে গ্রহণ করা হবে একটি অতি মহৎ কাজ। মানুষ হিসাবে অপর একজন মানুষের কল্যাণ কামনাই তো মানুষের মহত্ব্যের পরিচয়। এছাড়া অধিক মশক কবলিত অঞ্চল চিহ্নিত করে আমার ডেঙ্গু প্রতিরোধক ঔষধ প্রয়োগ করে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হোক। যেখানে পূর্বে অধিক পরিমানে মশক বাহিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হইত, আমার এই ঔষধ প্রয়োগের ফলে সেখানে আল্লাহর রহমতে উল্লেখযোগ্য হারে মশক বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে। ইহা আমার বহুবার পরিক্ষীত। তাই আমার এই আবিষ্কারকে তুচ্ছ না করে, যথোপযুক্তভাবে প্রয়োগ করে ফলাফল যাচাই করে মানব কল্যানে ব্যাপকভাবে প্রচার এবং ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তাই কারো সাথে বিরোধ নয়, যদি মানুষের কল্যাণ কামনাই মানব ধর্ম হয় তাহলে অত্যন্ত ভাল পার্শ্ব প্রতিক্রীয়াহীন সফল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রমাণ করে গ্রহণ করলে অবশ্যই সেটা মহৎ কর্ম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়কে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্নআস্থা ও বিশ্বাস রেখে আশ্বস্থ্য করতে চাই যে সমগ্র বাংলাদেশ হতে ডেঙ্গু নির্মূলের জন্য আমার এই আবিষ্কার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ।
বিনীত নিবেদক
ডাঃ পিকে হালদার
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত ৭৬, শহীদ রফিক সড়ক, মানিকগঞ্জ।
মোবাইল- ০১৭১৮৬২০৫৫০, ০১৬৮৬৭৮৫৪৫৫
Email- drpkhalder2011@gmail.com
|