|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে সরকার   * বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি : রাষ্ট্রদূত   * ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে কাল ঢাকা আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল   * আমাদের সফল হতেই হবে : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা   * বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রধান্য দেবে মার্কিন প্রতিনিধি দল : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর   * গাজা যুদ্ধে ক্ষুদ্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তা বিশ্ব ‘মানবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন   * অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয় করেছে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা : মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান   * জাতিসংঘের মানবাধিকার ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিম বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সুপারিশ করবে : মুখপাত্র   * প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন   * বন্যায় দেশের ১২ জেলায় প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫ জনের মৃত্যু  

   সম্পাদকীয়
  আঞ্চলিক কূটনীতি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে
  তারিথ : ২৪-১২-২০১৭
Share Button

মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব) :

রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কর্মপরিধি নির্ধারণসহ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথকে প্রসারিত করলো। আশঙ্কা পুরোপুরি মুক্ত না হলেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আর একধাপ অগ্রগতি হলো। গত ২৩ নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হলো। উভয় দেশ থেকে ১৫ জন নিয়ে মোট ৩০ সদস্যের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যবাসনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করবে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের কথা থাকলেও তা একটু দেরি হলেও অবশেষে বাস্তবতার মুখ দেখায় রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ নিজ দেশে ফেরত যাবার সুযোগ সৃষ্টি হলো। ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর অঙ্গীকার নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ শুরু করবে। যদিও অনেক কাজ বাকি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও আশার আলো অনেক বেশি। অতীতের আচরণগত অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে অনেকেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সাময়িকভাবে নমনীয় মিয়ানমার সময় ক্ষেপণের পথে হাঁটবে। চাপ কমে গেলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না মিয়ানমার। বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা প্রশস্ত করতে অনেক পথ হাঁটতে হবে। মিয়ানমার প্রতিবেশী হলেও দুই দেশের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব না কমার পেছনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি অনেক আগে থেকেই প্রতিবন্ধক হয়ে আছে।
চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো বন্ধু দেশগুলো মিয়ানমারকে সুরক্ষা দিতে বেশি আগ্রহী মনে হলেও রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তারাও নীতিগতভাবে একমত ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোকে জায়গা করে দিতে তাদের আপত্তি বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও বিপাকে ফেলেছিল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাইলেজ নেবার প্রতিযোগিতার ফলে মানুষের মনে সন্দেহের বীজ রোপিত হয়েছে। বাতাস ছড়ানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের কখনই ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের কূটনীতিকদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর থেকে ছয় লাখ ৫৫ হাজার আরাকানি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর সহিংসতার পর এসেছিল ৮৭ হাজার। তার আগে বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা হবে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার দায়ভার বাংলাদেশকে নাজুক অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। সংকটের উত্তরণ ঘটাতে না পারলে আগামি সাধারণ নির্বাচনে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রচারণার খোরাক হবে।
আরাকানি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়াই অনেক ঝুঁকির জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে জনমিতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হয়ে সামাজিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। অর্থনীতির চাপের সঙ্গে পরিবেশের উপর চাপ বেড়ে সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধচক্রে জড়িত হয়ে রোহিঙ্গাদের নিরীহ ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবার সম্ভাবনা বাড়ছে। ধর্মীয় জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করার জন্য অনেক দেশি-বিদেশি অশুভ চক্র তৎপর রয়েছে। আরসা নামের জঙ্গি সংগঠনের কথা ছড়িয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জাঁতি নিধনের পাঁয়তারা বিশ্বের কাছে হালে পানি না পেলেও আরসা সন্ত্রাসী হামলাকে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় সমানভাবে নিন্দা করেছে, যেমন করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এবং গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে সুবিদিত অঘোষিত রাষ্ট্রপ্রধান অং সান সুচিকে। তার সম্মানের মুকুটগুলো একে একে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবুও নতুন গণতন্ত্রকে বিপাকে না ফেলতে পশ্চিমা বিশ্ব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এখনও দ্বিধান্বিত। রোহিঙ্গাদের জিহাদি মতাদর্শে উজ্জীবিত হবার আশঙ্কা অনেক বেশি, কেননা অধিকার বঞ্চিত এবং স্বজনহারা মানুষের মনস্তত্ত্বকে উগ্রবাদে ধাবিত করা অনেক সহজ। রোহিঙ্গাদের প্রলম্বিত উপস্থিতি শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য হুমকি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও নিজ বাস্তুভিটাতে ন্যায্য অধিকার নিয়ে বাস করার নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম। তার দায় বাংলাদেশের একার নয়।
নিরাপদ, টেকসই ও দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের কাছে অনেকগুলো বিকল্প থাকলেও দ্রুত সমাধানের পথ নিয়েই বাংলাদেশ এগুতে চাইছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অনেক সম্মান ও গৌরব এনে দিয়েছে। বিশ্ব মানবতার দায় কাঁধে নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে কিছুটা হলেও চমকে দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা উত্তরণে বিশ্ব যেন বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে বিশ্বকে দুটি বলয়ে বিভাজিত দেখা যাচ্ছে। সংকট উত্তরণের কৌশল ও উপায় নিয়ে জাতিসংঘকে ব্যবহার করে বহুপাক্ষিক অংশগ্রহণ চীন, ভারত ও রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মিয়ানমারের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের ভবিতব্য নিয়ে শঙ্কিত দেশগুলো মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের মুখোমুখি হতে দিতে নারাজ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মুসলিম দেশ বাদে অন্যরা হয় প্রতিবেশী না হয় ধর্মযোগের কারণে মিয়ানমারকে শক্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের জাঁতি নিধনের নির্দয় ও নৃশংস কৌশল বিশ্ব ধিক্কারের মুখে পড়ে অধিকাংশ দেশের সমর্থন হারিয়েছে। গুটিকয়েক দেশ মিয়ানমারকে সুরক্ষা দিলেও বিশ্ব নিন্দার মুখে নিজেরাই বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়ে পড়ছে। নিরাপত্তা পরিষদে ক্রমাগত ভেটো দিয়ে টিকে থাকা যাবে না মনে করে চীন সংকট নিরসনে দ্বিপাক্ষিকতার রাস্তা বেছে নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নামে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৩৫টি দেশের সমর্থন নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস বাংলাদেশের কূটনীতি ও পদক্ষেপের জয়ের ইঙ্গিত বহন করে। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ১০টি দেশ অত্যন্ত বিব্রত বোধ করেছে। ২৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকে বিশ্ব থেকে কিছুটা হলেও নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চীনের অব্যাহতভাবে মিয়ানমারের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দেখা গেলেও কূটনীতির পর্দার অন্তরালে রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণের উপায় খুঁজতে দেশটি বেশ তৎপর। আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত অবস্থান চীনের বৈশ্বিক স্বার্থকে ক্ষুণœ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প যেমন এককভাবে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মুখে পড়ে বিপাকে পড়েছে। শিষ্টাচার উপেক্ষা করে শাসিয়ে ৩৩টি দেশকে ভোট দানে বিরত রাখতে পারলেও ইউরোপীয় মিত্রসহ ১২৮টি দেশ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার বিপক্ষে ভোট দিয়ে পরাশক্তির আধিপত্যবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। মিত্রদের  পরিত্যাগ করে একলা চলার নীতি টেকসই হয় না বরঞ্চ বিশ্বকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলেÑ সেটা সুস্পষ্ট করেছে ট্রাম্পের একগুঁয়েমি কৌশল।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপের বিদেশ মন্ত্রীদের সম্মেলন হয় ২০-২১ নভেম্বর। প্রতিটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু এজেন্ডাতে না থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। আসেম সম্মেলনেও হবে নিশ্চিত জেনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসেন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক নিয়ে কোনো প্রেস ব্রিফিং না হলেও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ১৭ নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশ করে যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে যাচ্ছেন বেইজিং-এর আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর গভীর সংকট নিয়ে দূতিয়ালি করতে। তিনি মিয়ানমার গমন করেন। তিনি সেখানে তিন দফার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তারপর থেকেই পরিস্থিতি মোড় ঘুরতে শুরু করে। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ গমন বন্ধ করা, বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফেরত আনা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ছিল প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অস্বীকারে থাকা মিয়ানমার হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় মেতে ওঠে এবং প্রত্যাবাসন স্মারক সই হয়। তার পরপরই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বেইজিং সফর করতে দেখা যায়। তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সাক্ষাৎ পান। চীনের একদলীয় শাসনের একসময়ের সমালোচক  ও গণতন্ত্রী নেতা অং সান সু চি’কেও চীন সফরে দেখা যায়। সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আবার চীনে গমন করেন। রোহিঙ্গা নিধন ও আন্তর্জাতিক চাপ চীনকে মিয়ানমারের অনেক কাছে নিয়ে এসেছে বলে মনে হয়। আন্তর্জাতিক শাসানি থেকে বাঁচতে চীনের সমর্থন মিয়ানমারের খুব প্রয়োজন এবং চীনের প্রভাব মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হবে এই মুহূর্তে। বাংলাদেশ সুযোগ হাতছাড়া করেনি এবং চীনের অপ্রত্যক্ষ দূতিয়ালি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। রোহিঙ্গা থেকে আঞ্চলিক ঝুঁকি ঘনীভূত হবার আগে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের মনোভাব সুস্পষ্ট ও ইতিবাচক ছিল। চীনের দূতিয়ালিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরুর সাথে ভারতের কূটনীতিও সক্রিয় হতে দেখা গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর মিয়ানমার সফর করেন এবং অং সান সু চি এবং সেনবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লায়েং-এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আরাকান অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতার আগ্রহ অনেক আগে থেকেই ছিল এবং ২৫ মিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক সই হয় যেখানে প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বসতবাড়ি ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য সরবরাহ করবে ভারত। রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করা ছিল এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য।
আঞ্চলিক কূটনীতি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। মিয়ানমারের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। মিয়ানমারের পক্ষে থাকা এশিয়ার দেশগুলোর রোহিঙ্গা নীতিতে পরিবর্তনের আভাস মিলছে। জাপানও এগিয়ে আসতে আগ্রহী হয়েছে। আসিয়ান দেশগুলো অচিরেই শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের প্রভাব ছড়াবে, পশ্চিমা বিশ্ব এখনও জাতিনিধনের অভিযোগে মিয়ানমারকে দায়ী করে আসছে। নিরাপত্তা পরিষদ এগুতে পারছে না চীন ও রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার জন্য। নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটাতে এখন ভেটোবিহীন সাধারণ পরিষদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে আন্তর্জাতিক মহল। রাখাইন রাজ্যে নৃশংস সেনা অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেনারেল মং মং সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় তৈরি হচ্ছে। বহুপাক্ষিক উদ্যোগ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে না আসলেও দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর উপর নির্ভর করে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে বেশি নজর দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জাতিসংঘের প্রক্রিয়া বেশ লম্বা এবং ধীর। অপরদিকে আঞ্চলিক দেশগুলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত হয়েছে। মিয়ানমারকে এবার সোজা ও সহজ পথে হাঁটতে হবে কেননা রোহিঙ্গা জাঁতি নিধনের কৌশল এবার মিয়ানমারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সবচেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ধাক্কা লেগেছে। উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার কামড় লাগতে শুরু করেছে মিয়ানমারে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার আবশ্যিকতা থেকে মিয়ানমারকে সমাধান খোঁজার পথেই থাকতে হবে। নিরাপদ, টেকসই ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হোক বাংলাদেশের কৌশল।


লেখক: স্ট্রাটেজি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। ইন্সটিটিউট অফ কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস (আই ক্লাডস)-এর নির্বাহী পরিচালক



       
  
   আপনার মতামত দিন
     সম্পাদকীয়
ডেঙ্গু ও নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিতে সর্বোত্তম ব্যবস্থা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী‘র বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণরোগ প্রতিরোধ
.............................................................................................
আসছে নতুন বাজেট
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
থেমে নেই যৌন পীড়নের ঘটনা
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
আজ মায়ের ভাষার দিন
.............................................................................................
একুশ মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো
.............................................................................................
নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা
.............................................................................................
চামড়া পাচার বন্ধে সীমান্তমুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
.............................................................................................
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ
.............................................................................................
অগ্নিঝরা মার্চ মাস শুরু
.............................................................................................
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
.............................................................................................
আঞ্চলিক কূটনীতি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে
.............................................................................................
থেমে নেই শিশু নির্যাতন
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫ ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com


   All Right Reserved By www.dailynoboalo.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale