রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ হওয়া ভবনটিতে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ শুরু হয় বলে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ১১টায় আমরা ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এ সময় আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি বিস্ফোরণের ফলে ভবনটির বেজমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ও যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এ অবস্থায় ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিসের এ সদস্য বলেন, বুধবার সকালে সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর লোকজন ভবনটিকে সাময়িকভাবে স্টেবল করবে। ভবনটি স্টেবল হওয়ার পর আমরা পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করব। আমরা মূলত ভবনটির বেজমেন্টে অভিযান পরিচালনা করব। এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকের বলেন, এখনে ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন এবং তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেউ শঙ্কা মুক্ত নয়। ডা সামন্ত লাল সেন বলেন, ১০ জন রোগীর মধ্যে তিন জন আইসিইউতে আছে, যারা আইসিইউতে আছে তাদের দুইজন লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তিনি বলেন, আর বাকি ৭ জনের মধ্যেও কারো ৯০ শতাংশ, কারো ৮০ শতাংশ, আবার কারো ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে আমাদের একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। তিনি গুলিস্তানে ওই ভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি আরও বলেন, মোটামুটি এখানে যারা ভর্তি তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নয়। সবাই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসাসহ যা যা করার সবই করা হচ্ছে। এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের এক পাঁচ তলা ভবনে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ভবনের দেয়াল ও জানালার গ্লাস রাস্তায় ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।