গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন - সংসদ ভবনে নতুন অফিস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
তারিথ
: ০৬-০৭-২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি ধরে রাখতে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যাতে দেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকে। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্র থাকায় আমরা দেশকে একটি উন্নয়ন ও উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।’ গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত না থাকলে এ অর্জন সম্ভব হতো না।বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ফিতা কেটে নতুন অফিস উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।গণতন্ত্রের ধারা যে দীর্ঘ সংগ্রামের ফল তা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু সংসদ নয় সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কারণ তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ আমরা বাংলাদেশকে উন্নত করতে পেরেছি। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেয়েছি। যদি একটা স্থিতিশীল ধারাবাহিকতা না থাকতো তাহলে এটা কখনো অর্জন করা সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই গণতান্ত্রিক ধারাটা কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল- এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। এটা একদিনে আসেনি।
তিনি বলেন, বারবারই আমাদের দেশে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই ২০০৯-এ সরকার গঠনের পর থেকে আমরা যে একটানা সরকারে থাকতে পেরেছি, পাশাপাশি আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা মজবুত করতে পেরেছি বলেই কিন্তু আজ কেবল পার্লামেন্ট ভবন নয়, সারা দেশটাই বদলে গেছে।আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংসদের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, একটানা আমরা সরকারে থাকার ফলে, একটা দীর্ঘ সময় পেয়ে পার্লামেন্টটাকে সুন্দর করে গোছানো গেছে, সাজানো গেছে।সংসদের নতুন অফিসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা ঘোষণা দিয়েছি, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট অফিস দরকার। সংসদের এ অফিসটা স্মার্ট অফিস হিসেবে তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন, কাজ করার জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ দরকার। সুন্দর পরিবেশে সবাই কাজ করলে কাজের গতিও বাড়ে, কাজের উৎকর্ষ সাধন হয়। ভালো পরিবেশে ভালো চিন্তা হয়। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজার নিচতলা সংস্কার করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নতুন কার্যালয় তৈরি করা ভবনের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে ফিতা কেটে নতুন এ কার্যালয় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি অফিসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপরা। এ সময় সংসদ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।