৭ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
তারিথ
: ০২-১০-২০২৩
আগামী ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ)-র তৃতীয় টার্মিনালের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন এই টার্মিনালের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নতুন টার্মিনালের অভ্যন্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘টার্মিনালটির আংশিকভাবে আগামী ৭ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে।’ তিনি বলেন, অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পুরো টার্মিনাল ভবনটি এখন দৃশ্যমান এবং অভ্যন্তরীণ সজ্জা ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মফিদুর রহমান বলেন, ‘আংশিক উদ্বোধনের জন্য আমাদের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা দরকার। এখন পর্যন্ত ৮৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি বলেন, আগামী বছরের শেষের দিকে টার্মিনালটি যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি চালু হবে এবং ৭ অক্টোবর থেকে এয়ারলাইন্সগুলো টার্মিনালের নতুন পার্কিং লট ব্যবহার করতে পারবে। ক্যাব প্রধান বলেন, ‘নতুন টার্মিনালটি বিশ্বমানের সব সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেশের চিত্র পাল্টে দেবে।’ তিনি আরো বলেন, আংশিক উদ্বোধনের পর সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং ক্যালিব্রেশনের কাজ শুরু হবে এবং আগামী আট মাসের মধ্যে এটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনালের ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট আগামী বছরের মধ্যে চালু হবে এবং পরবর্তী ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ পরবর্তীতে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ চালুর পর, এইচএসআইএ’র বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দাঁড়াবে ২০ মিলিয়ন- যা এখন মাত্র ৮ মিলিয়ন। ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফট পার্কিং এরিয়া এবং এপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে বিভিন্ন বিদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চায়, যা দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়। প্রকল্পটিতে মোট ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে সরকার প্রদান করেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পটিতে অবশিষ্ট অর্থায়ন করবে। মোট ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে তৃতীয় টার্মিনালটি ফ্লোর স্পেস ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটার। যেখানে রয়েছে ১৭৭টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক এবং ৬৪টি আগমন ইমিগ্রেশন ডেস্ক।