‘বাংলাদেশ ও ইইউ তাদের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ -মোমেন
তারিথ
: ২২-১০-২০২৩
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রাসেলস সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইইউ তাদের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ আগামী ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’-এ প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে তাদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোরামে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর সকালে ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর, বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো’র একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এছাড়া, ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো’র একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরো অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে। এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরো’র পাঁচটি বিভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করবে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ভাষণ দেবেন। বিকেলে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া, ইউরোপীয় কমিশনের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিশনার জেনেজ লেনারসিক এবং কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুটা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ফন ডার লেয়েনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।