গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাতে ব্যবহার না করা হয় সেই দাবি তুলেছে বিএনপি। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের দলীয় বাহিনীর মতো কাজ করছে। ভোটাররা তাদের ওপর আস্থা পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন অত্যাবশ্যক। শুধু তাই নয়, ইভিএম ব্যবহারে জনগণের আগ্রহ না থাকলেও নির্বাচন কমিশন অনেক সেন্টারের ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এগুলো সবই সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন বলে আমরা মনে করি। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে দুই সিটি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম বাতিল ও সেনা সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল ও সন্ত্রাসীদের হাতে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল করছে, মিটিং করছে, সমাবেশ করছে বীরদর্পে। অন্যদিকে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ দূরের কথা নেতা-কর্মীরা কেউই বাড়িতে রাতে ঘুমাতে পারছে না। তাদের জীবন কাটছে হয় জেলখানায় না হয় আদালতের বারান্দায়। আমি অবিলম্বে দুই সিটিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি। আগামী ১৫ গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। তফসিল অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১২ এপ্রিল; যাচাই-বাছাই ১৫-১৬ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ এপ্রিল। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের প্রতি অমানিবক আচরণ করা হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, তাকে একটি ছোট অন্ধকার কক্ষে রাখা হয়েছে। বন্দি মানুষ হিসেবে যতটুকু অধিকার পাওয়া দরকার সেটিও দেয়া হচ্ছে না কারাগারে। তার জামিন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করছে সরকার। আমরা শিমুল বিশ্বাসের প্রতি সরকারের এহেন আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুল খালেক, সাইফুল ইসলাম পটু ও কাজী রফিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।