মেহেরপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৭০ ও ৭৫ নতুন জাতের সুগন্ধি ধানের আবাদ করে সফল হয়েছে চাষিরা। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামের আশা চাষিদের। নতুন জাত হিসেবে চাষিদের মন কেড়েছে এই ধানে। কৃষি বিভাগের কাছে আগামী মৌসুমে এই জাতের ধানবীজের প্রত্যাশা করেছে চাষিরা। মেহেরপুর কৃষি অধিদফতরের হিসাবে জেলায় চলতি আমন মৌসুমে এই ধানের আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে। তবে মেহেরপুরে বিভিন্ন জাতের আমন আবাদ হলেও এবার প্রথম নতুন জাত হিসেবে কৃষি বিভাগ থেকে ২৫ জন চাষিকে প্রদর্শনী প্লটে আবাদের জন্য বীজ বিতরণ করে। প্রদর্শনী প্লটে এই ধানের আবাদ করে চাষিরা খুব খুশি। যাদবপুর গ্রামের চাষি গাজী কবির আলম বলেন, অন্যান্য ধানের চেয়ে এই জাতের ধানের গোছা ও শিষ হয়েছে খুব ভালো। তাছাড়া এই ধানটা সুগন্ধি যা কাটারীভোগ ধানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। রাধাকান্তপুর গ্রামের চাষি ওমর ফারুক বলেন, অন্যান্য ধানের পরে এই ধানের চারা রোপণ করে আগে ঘরে তুলবে এবং ২০-২২ মণ ফলন পাবে বলে আশা চাষিদের।
চাষিদের দাবি আগামীতে যেন এই বীজটা কৃষকদের মাঝে পর্যাপ্ত দেওয়া হয়। তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে। চাঁদবিল গ্রামের চাষি এনামূল মিয়া বলেন, অন্য জাতের সঙ্গে ৭৫ ধানটা সুগন্ধি এবং ধানটার জীবনকাল খুবই কম। একসঙ্গে ধান লাগিয়ে এখন এই ধান কাটা যাবে। ধান পেকে গেছে। কিন্তু অন্য ধান ঠিকমতো শিস বের হয়নি। এত কম বয়সে আশা করি ওই সব ধান থেকে ফলন বেশি পাব এবং বেশি দামে বিক্রয় করতে পারব। ৭৫ জাতের ধানটা এসেছে এটা একটা ম্যাজিক, সবার শেষে লাগানো হলো। কিন্তু এটা সবার আগে পেকে গেছে বা সবার আগে কাটা হলো। এই ধানটা কাটার পরে আবার আমরা আর একটি আবাদ পাচ্ছি। এই ধানের বীজ যদি আমরা পাই পর্যাপ্ত পরিমাণে তাহলে আমাদের খুব ভালো হবে। এই ধানটা কৃষি বিভাগ থেকে এসেছে। আর এই ধানের ফলন খুব ভালো মনে হচ্ছে। কারণ একজন কেটেছে এই ধান সব ধানের থেকে ৫-৭ মণ বেশি বলে মনে হচ্ছে। আগামী বছর যদি এই ধানের বীজটা পাই তাহলে আমরা লাগাব। মেহেরপুর সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, কৃষি বিভাগও চাচ্ছে এই জাতের ধানের আবাদ জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই ধানটা খুবই সুন্দর জাতে ৭০। খুবই সুন্দর এর শিস। দেখতে খুব ভালো। আমার মনে হয় ২০-২২ মণ হারে ধান হবে। আগামীতে এই বীজ যদি পাই তাহলে আমরা সবাই লাগাব। এবার আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে এই নতুন ধানের বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে আছে ৭০ এবং ৭৫ দুটা। তবে ৭১ও দিয়েছি। এটি সুগন্ধি। সবাই এই ধান দেখে অভিভূত। সবাইকে এই ধানের যত্ন নেওয়ার জন্য বলেছি। কৃষকরা দলে দলে দেখতে আসছে। এই ধানটি যদি সবাই লাগাই তবে সুগন্ধি ধানের অভাবটা পূরণ হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবদুল মালেক, যুগ্ন সম্পাদক: নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া । সম্পাদক র্কতৃক ২৪৪ ( প্রথম তলা ) ৪ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা -১২১৪ থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২ টয়েনবি র্সাকুলার রোড, ঢাকা -১০০০ থেকে মুদ্রিত । ফোন:- ০২-৭২৭৩৪৯৩, মোবাইল: ০১৭৪১-৭৪৯৮২৪, E-mail: info@dailynoboalo.com, noboalo24@gmail.com
Design Developed By :
Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD BD My Shop