ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাস বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোনগুলোতে লকডাউন বাস্তবায়নের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন পাওয়ার সাথে সাথেই লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে এবং পরের দিনই আমরা কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয় সভা করেছি। আমরা আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। এখন আমরা এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর লকডাউন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ঘোষিত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময়ের আগেই তা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
গেল ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউনে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখন শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় নিয়ে সার দেশকে লাল, হলুদ ও সুবজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে দুই দফায় ১৫ জেলার ৩৮টি অঞ্চলকে ভাইরাস বিস্তারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলো বেগবান করার জন্য আমরা নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, সেগুলো আরও বেগবান হবে এবং সেগুলো আমরা সম্পন্ন করব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। এরই মাঝে আমরা মশক নিধনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা আমরা সম্পন্ন করেছি, আশা করছি পহেলা জুলাই থেকে এই কার্যক্রম আমরা শুরু করতে পারব।
এছাড়া জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসী অচিরেই রেহাই পাবে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ৯০ দিনের যে কর্মসূচির কথা বলেছিলাম, সেটা করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ৯০ দিনের মধ্যে না পারলেও অচিরেই এই সমস্যা থেকে ঢাকাবাসী রেহাই পাবে।