সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ কর্মীর এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর শাহবাগ থানায় দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আল নাহিয়ান খান জয় নামের এক ব্যক্তির শাহবাগ থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় তাকে (রাশেদ খান) গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এই মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারপরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
আল নাহিয়ান খান জয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র।
এর আগে সকালে ফেইসবুক লাইভে এসে রাশেদ জানান, গোয়েন্দা পুলিশ তার পিছু নিয়েছে। এই সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাসানটেক মজুমদারের মোড় এলাকায় ডিবি আমাকে ধাওয়া দিয়েছে। আমি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সবাই আমাকে বাঁচান।’
এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে পিটুনির শিকার হন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন তারা; হামলার সময় সংগঠনটির কয়েকজন নেতাকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে।
তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সরকার সমর্থক সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, আন্দোলনকারীদের ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে’ হামলার ঘটনা ঘটেছে।