রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে পুলিশের ভূমিকা পালন করছে, বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিলে এক লাখ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। ঘরে ঘরে গ্যাস পৌছে দেওয়া হবে। নতুন নতুন স্কুল-কলেজ হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হলে এতোদিন অনেক কাজ হয়ে যেতো বলেও উল্লেখ করেন লিটন। গতকাল বুধবার নগরীর ভেড়িপাড়া মোড়ে পথসভা শেষে ওই এলাকায় গণসংযোগকালে খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নগরী গড়তে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে গতকাল বুধবার নগরীর ১৩ ও ২০ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতকারের সময় অভিযোগ করেন বুলবুল। তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে পুলিশের ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র উচিঁয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধর করছে, বিএনপি অফিস ভেঙ্গে দিচ্ছে এবং উল্টো পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিচ্ছে। পুলিশও তাদের কথামতো কাজ করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু ও অবাধ হবেনা। নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি বলেন, রাজশাহীতে সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএনপি’র গণসংযোগ ও পাড়া মহল্লায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করলেও তারা নিরব দর্শকের ন্যয় ভূমিকা পালন করছে। বুলবুল বলেন, বিএনপি একটি সু-সংগঠিত, সু-শৃঙ্খল ও উন্নয়নমুখি দল। বিএনপি’র বর্তমান অবস্থা দেখে সরকার দলীয় প্রার্থী ভীত হয়ে এই কা-গুলো করছে। পাড়া মহল্লায় ধানের শীষের গণজোয়ার বইছে। ভোটারগণ আগামি ৩০ তারিখ শতবাধা উপেক্ষা করে এর প্রতিফলন ঘটানোর অপেক্ষায় রয়েছে বলেও বুলবুল জানান।