রাজশাহী সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বুলবুলের মামলা
তারিথ
: ০৭-০৯-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ভোটে নির্বাচিত হয়ে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিন ওই নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা এই মামলায় ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় নির্বাচনের বিভিন্ন অসংগতি, ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেয়র পদের ব্যালট শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই রাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পর নতুন নির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গত বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর শপথ গ্রহণের একদিন পর নির্বাচনী ফলাফল বাতিল এবং নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। মামলা করার কথা স্বীকার করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিজয়ী প্রার্থীসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলার আরজিতে ঘোষিত রাসিক ফলাফল বাতিল করে বুলবুলকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবি করা হয়েছে। মামলার আইনজীবীদের একজন অ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী জানান, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচজন আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি শেষে বিচারক আবু সাঈদ মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং বিবাদীদের নামে নোটিশ জারি করেছেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই দলীয় প্রতীকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ১৩৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। নির্বাচনে তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন দুই লাখ ৫০ হাজার ৮৮১ ভোটার। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ভোট পান এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬। বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট পান। এ ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে তিন হাজার ২৩ ভোট, গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ হাতি প্রতীকে এক হাজার ৫১ ভোট এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান কাঁঠাল প্রতীকে পান ৩২০ ভোট। পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রথীকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হন। নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বুধবার মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।