ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন ৩ ডিসেম্বর থেকে। এর আগে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে; প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর। এবার তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটের তারিখ পর্যন্ত ব্যবধান রয়েছে ৪৬ দিন। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর থেকে ভোট পর্যন্ত সময় থাকছে ২৩ দিন। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৪৪ অনুচ্ছেদের ১ ধারার উপদফা (জি) এবং নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১২ ধারা অনুযায়ী ভোটের দিনের তিন সপ্তাহ আগে প্রার্থীদের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, এবার ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং অফিসার। প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা ৩ ডিসেম্বর থেকে আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রচার চালাতে পারবেন। প্রতীক পেলেও ১ ও ২ ডিসেম্বর প্রচারে নামা যাবে না জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ২৩ ডিসেম্বর ভোট। তার আগের তিন সপ্তাহ ধরলে ৩ ডিসেম্বর থেকেই প্রচারের সুযোগ থাকে। ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, অতীতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর থেকে ভোট পর্যন্ত ৪০ দিন সময় রাখারও নজির আছে। কিন্তু প্রচারের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনের সুযোগ নেই। সময় বেশি থাকলেও প্রচার শুরু করতে হয় ২১ দিন আগে থেকে। একই কথা বললেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহা. ছহুল হোসাইন। তিনি বলেন, প্রচাররের সুযোগ সর্বোচ্চ ২১ দিন। ফলে ৩ ডিসেম্বর থেকে প্রচারের সুযোগ দেওয়া হলে তাতে আইনি ব্যাত্যয় ঘটেছে না। ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, এমনিতে দেখা যায় প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু হচ্ছে। কিন্তু প্রতীক পাওয়ার পরে ২১ দিনের বেশি সময় থাকলে প্রচার শুরু হবে পরে। সে অনুযায়ী এবার প্রতীক পাওয়ার পর অন্তত দুই দিন ভোটের প্রচারে নামা যাবে না। তিনি জানান, ভোটের দিনের আগের ৪৮ ঘণ্টায় প্রার্থীদের সব ধরনের সভা সমাবেশ মিছিলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আচরণবিধিতে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোট পর্যন্ত হাতে বেশি সময় রাখার পক্ষে যুক্ত দিয়ে সাবেক এই ইসি কর্মকর্তা বলেন, সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। ব্যালট ছাপানোর জন্যও বেশ কিছু দিন সময় লাগে। এসব বিবেচনায় রেখে তিন সপ্তাহের বেশি ব্যবধান রাখার নজির রয়েছে।