আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল নিজে শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিন।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং জাবালে নূর পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিদ্যমান যে ট্রাফিক আইন আছে তা যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ দুই কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, আদালত দুই পরিবারের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য জাবালে নূর পরিবহনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহত হয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা খরচ বহন করতে ওই পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তি দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ক্ষতিপূরণের অর্থ নিহতদের পরিবার পেল কিনা তা নিশ্চিত করে পরবর্তী শুনানির দিন ১২ অগাস্ট প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বিআরটিএকে। ওই দিন পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাসটি উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একই কলেজের ছাত্রী দিয়া খানম প্রাণ হারায়। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাসচাপায় প্রাণহানির ঘটনায় রোববার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের (মিম) বাবা জাহাঙ্গীর আলম। দুই বাসচালক ও দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া দুই বাসচালক হলেন সোহাগ ও যুবায়ের। তাঁদের রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।