পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ে ভোক্তাদের ভোগান্তি না কমতেই এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ডিম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। যা আগে ছিল ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় ডিমের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তারা জানান, এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জায় গত কয়েক মাসে খামারীদের অনেক মুরগি মারা যাওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। খামারে নতুন মুরগি উঠালে দাম কমবে বলে তারা জানান।
এদিকে নতুন করে দেশি পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
রাজধানীর কাওরানবাজারের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বেলায়েত মোল্লা জানান, মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজ রাজধানীর বাজারে ঢুকবে বলে আশা করছি। তখন দাম কিছুটা কমবে।
তবে স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারের বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলাবাজারে তাদের পেঁয়াজ বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়াচ্ছে। শনিবার থেকে রাজধানীতে ১৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। আগে ১০টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হতো। ৪৫ টাকা কেজি দরে প্রতিটি ট্রাকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।