পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ প্রভৃতি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
সোমবার (৪ মে) অনাবশ্যক পরিচালনা ব্যয় কমাতে ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সোনালী, জনতা, কৃষি, কর্মসংস্থানসহ সরকারি ছয় ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ চারটি সংস্থার ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থাবর সম্পত্তি কেনা, অফিস স্পেস ভাড়া, সাজসজ্জা প্রভৃতি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। আর এখন থেকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) অনাবশ্যক বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ও জাতীয় প্রচারমূলক ব্যয়ে অর্থ বরাদ্দ সীমিত রাখা এবং ভ্রমণ, যাতায়াত ভাতা, আপ্যায়ন খরচ, উন্নয়ন তহবিলসহ বিবিধ খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার কথাও বলা হয়েছে এতে। আর গাড়ি ব্যবহারে অনুসরণ করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা এখন থেকে যার যার অফিসের মধ্যেই করতে হবে। বাইরের কোনও হল ভাড়া করা যাবে না। ক্রান্তিকালে ভিডিও সম্মেলন করতে হবে।
ব্যাংকের ফ্রন্ট লাইনে যারা কাজ করেন, তাদের অধিকতর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাতায়াতসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ সংকট মোকাবিলায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধিক পরিমাণে তারল্য বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।