এতোদিন ভ্যাট আদায়ে নমনীয় থাকলেও এখন থেকে কঠোর অবস্থানে যাবেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান।
ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা করার অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, গত দুই বছরে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এমনকি বাজেটের বাইরে গিয়েও, সহায়তা করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সিরামিক এক্সোপোর উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা বান্ধব হলেও এনবিআর অর্থমন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন এফবিবিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এনবিআর অথবা অর্থমন্ত্রণালয় এমন এমন কিছু বাধা সৃষ্টি করে করে ফলে এই সেক্টরগুলো যেভাবে এগিয়ে যাবার কথা সেখানে তারা বাঁধা সৃষ্টি করে।
রবিবার ভ্যাট দিবসের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ নিয়ে জানতে চান সংবাদকর্মীরা। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, প্রতিদ্বন্দী যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের বেশি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভিয়েতনাম এবং ভারতের চেয়ে আমরা কোন অংশে কম সুবিধা দিচ্ছি না। বরং বেশিই দিচ্ছি। আমি বিগত দুই বছরে ব্যবসায়ীদে কথা যে ভাবে শুনছি, বাজেট ডিক্লিয়ারেশনের পরেও, বাজেটের বাইরে অনেক জায়গায় আমরা ছাড় দিচ্ছি। বিশেষ করে ভ্যাট আইনের ক্ষেত্রে আমরা মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে আমরা ছাড় দিয়েছি। এখন থেকে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে সকলের প্রতি আরেকটু কঠোর হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অক্টোবর পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৯৬ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ২০ হাজার কোটি টাকা কম। তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। কাস্টমস থেকে আয় বেড়েছে ৪শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আয়কর আদায়ে, ১১ দশমিক চার ছয় শতাংশ। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এবছর দুই লাখ রিটার্ন বেশি জমা পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন নাই তাদের প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদেরকে বাধ্য করা হবে, আয়কর রিটার্ন এবং ট্যস্ক জমাদিতে।
দোকানিদের ভ্যাটের হিসাব রাখা এবং কোষাগারে জমা দেওয়া সহজ করতে, ডিসেম্বরেই ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বিতরণ শুরু হবে। সফটওয়্যার বিনামূল্যে পেলেও, মেশিনের দাম কিস্তিতে শোধ করতে হবে।