মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নজরুল ইসলাম শামীম। তিনি বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেনের আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম আরো বলেন, আজ সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেফুদাকে গ্রেফতার করা যায়নি- এমন প্রতিবেদন দাখিল করা হলে বিচারক সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
এর আগে ২ অক্টোবর কোরআন অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর ১০ সেপ্টম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রাহ্মচারি আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে আসামি সেফুদা কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক যা একাধিক গোষ্ঠির মধ্যে মতবিরোধ মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারা অনুসারে অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতের কাছে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
সেফাত উল্লাহ এর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামে। ২৫ বছর আগে সেফাত উল্লাহর বাবা তাকে ত্যাজ্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সেফাত উল্লাহ সেফুর বড় ভাই শামসুল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, কিশোর বয়সে সেফাতকে আমার বাবা পাবনার পাগলা গারদে দিয়ে আসেন। সেখানে কয়েক মাস তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ছোটবেলা থেকেই সেফাত পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলত। তাকে বাবা হাজী আলী আকবর ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা দিয়েছিলেন।