শোনো তোমাদের গল্প বলি
অসীম তেজ আর সাহসীকতার।
কল্পনা নয়, সত্য ঘটনা;
গল্পটা এক জাতির পিতার।
অত্যাচার আর শোষক-তাড়না:
দেশটা যখন ডুবতে যাবে হয়েছিলো এক সূর্য উদয়,
আলোয় লিখা, `লড়াই হবে`!
ললাটে পড়েনি ভয়ের রেখা,
হৃদয়ে সাহস সুসংহত;
বজ্রকণ্ঠে ধ্বনিত হলো
`মুক্তির ডাক`, বৃষ্টির মতো।
৭ই মার্চে `সূর্যের তেজ`!
জনতা হলো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
"যায় যাবে প্রাণ, দেখবো না হয়,
গড়বো না হয় `রক্ত যজ্ঞ`।
প্রতি ঘরে হলো প্রতিধ্বনিত
বজ্রকণ্ঠী মুক্তি কিরণ,
ঝলসে দিলো সে জনতার রূপ-
" মুক্তির ডাক দিচ্ছে পীড়ন"।
এলো কৃষক, ছাত্র, শ্রমিক,
নারীদের পায়ে ক্ষিপ্রগতি।
বজ্রের ধ্বনি, ধ্বনিত কর্ণে;
ভীরু প্রস্তাবে অসম্মতি।
দিলো প্রতিজ্ঞা মানুষের মনে,
"আমরা নই তো মৃত্যুভীত-
বাঙালির জাতি মরতে জানে,
মৃত্যু যজ্ঞে সঞ্চারিত"।
নয় মাস ধরে যুদ্ধ হলো,
মুক্তি এলো প্রতিটি ঘরে
`মুক্তি পতাকা` থেকে গেলো শুধু
চার দেয়ালের অন্ধকারে।
নব সূর্য আজ উদিত হলো:
মুক্ত সে মাঠ, মুক্ত আকাশ,
মুক্ত হৃদয় মেললো চক্ষু,
মুক্ত জল আর মুক্ত বাতাস।
গল্প আমার শেষ হলো তবে।
সূর্যটা হলো বিশ্বনেতা,
আমাদের কাছে `বঙ্গবন্ধু`
কিংবা তোমার `জাতির পিতা`।
---ফয়জিয়া নুর।