বাংলা কাব্য সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৩ মে। এই কিশোর কবি তাঁর অসাধারণ কাব্যশক্তি ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়/পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ এবং ‘সাবাশ বাংলাদেশ/ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ¦লেপুড়ে ছাড়খাড়/ তবু মাথা নোয়াবার নয়’-এই অমর পংক্তি রচনার মাধ্যমে বাংলা কবিতায় চির অমর হয়ে আছেন। স্কুল জীবন থেকেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লেখালেখি শুরু করেন। তার কবিতা ও অন্যান্য লেখার মূলভাবনা হচ্ছে সাম্যবাদ ও প্রগতিশীল চিন্তাধারা। সমাজতন্ত্রের জন্যে কবি লড়াই করেন তার স্বল্পায়ু জীবনের সব লেখাতে।
কবি সুকান্তের প্রথম লেখা একটি গল্প ‘ সঞ্চয় ’ প্রকাশিত হয় স্কুল ম্যাগাজিনে। সেই থেকেই কবি লিখেছেন একাধারে কবিতা, গল্প এবং অন্যান্য মাধ্যমে। কলেজ জীবনে ‘ আকাল’ নামে একটি সংকলন সম্পাদনা করেন। এই সংকলনে তার বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরীসহ সে সময়ের অনেক লেখকরা লিখেছেন। লেখালেখির পাশপাশি কবি প্রগতিশীল রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৪ সালে কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগদান করেন। মৃত্যুর পর কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ ছাড়পত্র ’ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে সুকান্ত সমগ্র, গীতিগুচ্ছ ও অভিযান। যক্ষারোগে আক্রান্ত হয়ে এই কবি কলকাতার একটি হাসপাতালে ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২১ বছর। কবি সুকান্তের পরিবারের আদি নিবাস বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। কবি ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলাকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।