ঠাকুরগাঁওয়ে পিতা মাতার সম্পর্কের টানাপোড়েনে ১৭ বছর পর পিতার স্বীকৃতি পেল মেধাবী ছাত্রী সুমি
তারিথ
: ১৩-০৫-২০১৮
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
জেলার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী সুমি আক্তার ১৭ বছর পর কন্যা হিসেবে তার পিতার স্বীকৃতি পেয়েছে। ১২ মে শনিবার রাত ১০টায় পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ৩ শত টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তার পিতা শরিফুল ইসলাম তাকে কন্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই কন্যা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পিতার অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত থেকে বঞ্চিত ছিল। সুমির জন্মের পর তার মা সেফালি বকুল কে ২০০১ সালে পিতা শরিফুল ইসলাম ডিভোর্স দেয়। পিতা-মাতা আলাদা হয়ে যাওয়ায় শিশু সুমি মায়ের কাছে থেকে যায়। পরবর্তীতে সুমির পিতা শরিফুল ইসলাম সুমিকে অস্বীকার করে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে পা রাখে সুমি। সুমির মাতা দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের স্বীকৃতির জন্যে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। তার মা হত দরিদ্র ও অসহায় হওয়ার কারণে বিষয়টি কেউ আন্তরিক ভাবে নেয়নি। সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপা’র সহায়তায় সুমি আক্তার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে পিতার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যে একটি লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.ডব্লিউ.এম. রায়হান শাহ্ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদনটি থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান এর কাছে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে থানা পুলিশের ডাকা মধ্যস্থতা বৈঠকে দফায় দফায় আলোচনার পর পিতা শরিফুল ইসলাম তার কন্যার স্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মফিজুল হকের অফিসে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ স্বীকৃতীকে চুড়ান্ত রুপ দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক, মানবাধীকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, আজম রেহমান, আজিজুল হক সহ অনেকেই সুমির পক্ষে অংশ নিয়ে সহযোগীতা করেন এবং সফল হন।