যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি নারী হত্যায় মার্কিন যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
তারিথ
: ১৪-১২-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
দুই বছরের বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি নাগরিক নাজমা খানমকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৫ বছর বয়সী ওই মার্কিন যুবকের নাম ইয়োনাতান গেলভেজ-ম্যারিন। এই রায়ের ফলে তার ২৫ বছর কারাগারে থাকা লাগবে। ১১ ডিসেম্বর কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের জজ মাইকেল বি এলোইস এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন। ২০১৬ সালের ৩১ অগাস্ট রাত ৯টার দিকে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে নরম্যাল রোডের বাড়ির সামনেই দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন ৬০ বছর বয়সী নাজমা। ঘটনার সময় কাছেই ছিলেন নাজমার স্বামী সামসুল হক (৬৭)। স্ত্রীর চিৎকারে তিনি এগিয়ে আসার আগে হামলাকারী কেটে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে নাজমাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনার তিনদিন পর ঘাতক ইয়োনাতান গেলভেজ-ম্যারিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন সন্তানের মা নাজমার এক সন্তান নিউ ইয়র্কে থাকেন। অন্য দুই ছেলে-মেয়ে থাকেন বাংলাদেশে। শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা নাজমা বাংলাদেশে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে ডিভি লটারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমিয়েছিলেন শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমা। তার স্বামীও শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন জানান, আঁধো-অন্ধকারে হত্যাকারী ইয়োনাতান নাজমার কাছে যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে। নাজমা খানম তা দিতে অস্বীকার করলেই তাকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, অসহায় একজন নারীকে এভাবে হত্যার মতো বর্বরোচিত ঘটনা দ্বিতীয়টি হতে পারে না। এজন্যে ঘাতককে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। একই আদালতে গত ২৬ অক্টোবর এই ঘাতককে সেকেন্ড ডিগ্রির মার্ডার, ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং বেআইনি অস্ত্র বহনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যাবজ্জীবন কারাদÐের রায়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় সপ্তাহব্যাপী জুরি ট্রায়ালের পর।