গত ১৬ ই জানুয়ারি বার্সেলোনার স্কাই ওয়ে রেস্টুরেন্টে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালুনিয়ার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়|সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালুনিয়ার আহবায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালোনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক ও বিয়ানীবাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ময়নুল আবেদিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বার্সেলোনার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন| অনুষ্ঠানে বিশেষ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম| বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করার কারণে তিনি টেলিফোনে বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন| রিজভী আলম বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং স্পেন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান| অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালুনিয়ার সদস্য এবং বার্সেলোনার বাংলাদেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হীরা আলম, বার্সেলোনা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব আল মামুন লাভু, বার্সেলোনা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী খাদিজা আক্তার মনিকা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন হারুন, বার্সেলোনা যুবলীগ নেতা রহমান সাহাব , সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালোনিয়ার যুগ্ন-আহবায়ক সাব্বির আহমেদ দুলাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালুনিয়ার সদস্য ইকবাল বকশী, সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম কাতালুনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সানা প্রমুখ|অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙ্গালী জাতির অহংকার, যার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটির সৃষ্টি হতো না | বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান | ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল| কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনী র সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি , নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আমরা পেয়েছি আমাদের মহান স্বাধীনতা| আমাদের স্বাধীনতা তখন ও পরিপূর্ণ লাভ করেনি যতক্ষণ পর্যন্ত না বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন| বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরেন|অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন তিলে তিলে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর দেশে পরিণত করেছিলেন, ঠিক তখন ই পাকিস্তানের দোসর খুনি মোস্তাক , খুনি কর্নেল ফারুক, খুনি মেজর ডালিম সহ কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে|আমরা বাঙালি জাতি হারায় আমাদের পিতাকে| বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে যারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে, এত সহজে মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না|