শখ থেকে স্বপ্ন পুরন
কে.এ.তানিস :
মাইশা আতিকা, পেইজঃ হামানদিস্তা, পেশাঃ পড়াশোনা+ প্রাইভেট জব, পেইজ শুরুঃ২০১৭। এইচ এস সি পরিক্ষার পর থেকেই শখ ছিলো একটা বিজনেস করবো। খুব ছোট পরিসরে, অনলাইনে। কিন্তু পুজি,প্রোডাক্ট সব কিছু নিয়ে খুব কনফিউজড ছিলাম। কোন বা কি ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবো স্বাভাবিক ভাবেই স্টুডেন্ট ছিলাম এনাফ পুজি ও ছিলনা। একদিন একটি বাটিতে মসুর বাটা আর দুধের মালাই নিয়ে একটি ফেইসপ্যাক বানিয়ে জোর করে আম্মু কে লাগিয়ে দিলাম। সেইদিন হুট করে একটা ব্যাপার মাথায় আসে। আমার মায়ের মতই অনেক মেয়ে অনেক নারী আছেন যারা পরিবারের এবং বাড়ির ফার্নিচারের কোনায় রাখার ফ্রেমের ঠিক যতœ নেন কিন্তু নিজের যতœ নিতে ভুলে যান। তাদের সময় হয়ে উঠে না আয়না দেখার । তাই আমি ঠিক করলাম এই বিষয় টা নিয়েই কাজ করি। আমার থিম হয়ে গেলো ওয়ার্কিং আপুদের স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার এর ন্যাচেরাল উপটান ।
কিন্তু লিকুইড না ড্রাইড জিনিস। শুকানা গুড়ো থাকবে জাস্ট পানি মিশিয়ে ফেইসপেক বানিয়ে নিতে পারবে। মেক শিউর করলাম সব প্রোডাক্ট হবে খুব অর্গানিক আর হাইজেনিক আর জেনুইন। আমার প্রোডাক্ট এর উপকারিতা সব টাই গুগল /ইউটিউব এ থাকবে।
যেমন প্রথমে আনলাম মসুর ডাল গুড়ো। এখন মসুর ডাল গুড়ো স্কিন কেয়ার এর জন্য খুব ই ভালো তা গুগল, ইউটিউব এ ই আছে।
এমন কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবোনা যা শুধু আমি এপ্রæভড করেছি।
ঝটপট লিস্ট করে ফেললাম কি কি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট থাকবে, মসুর গুড়ো, নিম পাতা গুড়ো, আমলকি গুড়ো ইত্যাদি নিয়ে নেমে পড়লাম থিম এর সাথে মিলিয়ে নাম দিলাম হামানদিস্তা।
আলহামদুলিল্লাহ প্রথম ৩ দিনেই পেইজ এর নাম আর অর্গানিক আইটেম গুলো সবাই খুব ভালো ভাবেই এক্সেপ্ট করেছে। পুজি ম্যান পাওয়ার সব কম ছিলো ১ বছরেই পুজি, ম্যান পাওয়ার,ক্লাইন্ট ৩টাই বেড়েছে। ট্রেডলাইসেন্স,নিবন্ধিত লগো ও করিয়েছি। ওয়ার্কিং নারীরা, হোম মেকার নারীরা হামান্দিস্তা থেকে খুব সহজে নিজেরও যতœ নিতে পারছে। এইটুকুই আমার সবথেকে বড় পাওয়া।
আমরা চার বোন, বাবার যেন কোন ছেলে সন্তানের অভাব বোধ না হয় সেই জন্য আমার এই সংগ্রাম। আমি মনে করি, নারীপুরুষ কেবল দুটি বিশেষণ।
ওভ ঃযবৎব রং ধ রিষষ ঃযবৎব রং ধ ধিু.
|
কে.এ.তানিস :
মাইশা আতিকা, পেইজঃ হামানদিস্তা, পেশাঃ পড়াশোনা+ প্রাইভেট জব, পেইজ শুরুঃ২০১৭। এইচ এস সি পরিক্ষার পর থেকেই শখ ছিলো একটা বিজনেস করবো। খুব ছোট পরিসরে, অনলাইনে। কিন্তু পুজি,প্রোডাক্ট সব কিছু নিয়ে খুব কনফিউজড ছিলাম। কোন বা কি ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবো স্বাভাবিক ভাবেই স্টুডেন্ট ছিলাম এনাফ পুজি ও ছিলনা। একদিন একটি বাটিতে মসুর বাটা আর দুধের মালাই নিয়ে একটি ফেইসপ্যাক বানিয়ে জোর করে আম্মু কে লাগিয়ে দিলাম। সেইদিন হুট করে একটা ব্যাপার মাথায় আসে। আমার মায়ের মতই অনেক মেয়ে অনেক নারী আছেন যারা পরিবারের এবং বাড়ির ফার্নিচারের কোনায় রাখার ফ্রেমের ঠিক যতœ নেন কিন্তু নিজের যতœ নিতে ভুলে যান। তাদের সময় হয়ে উঠে না আয়না দেখার । তাই আমি ঠিক করলাম এই বিষয় টা নিয়েই কাজ করি। আমার থিম হয়ে গেলো ওয়ার্কিং আপুদের স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার এর ন্যাচেরাল উপটান ।
কিন্তু লিকুইড না ড্রাইড জিনিস। শুকানা গুড়ো থাকবে জাস্ট পানি মিশিয়ে ফেইসপেক বানিয়ে নিতে পারবে। মেক শিউর করলাম সব প্রোডাক্ট হবে খুব অর্গানিক আর হাইজেনিক আর জেনুইন। আমার প্রোডাক্ট এর উপকারিতা সব টাই গুগল /ইউটিউব এ থাকবে।
যেমন প্রথমে আনলাম মসুর ডাল গুড়ো। এখন মসুর ডাল গুড়ো স্কিন কেয়ার এর জন্য খুব ই ভালো তা গুগল, ইউটিউব এ ই আছে।
এমন কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবোনা যা শুধু আমি এপ্রæভড করেছি।
ঝটপট লিস্ট করে ফেললাম কি কি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট থাকবে, মসুর গুড়ো, নিম পাতা গুড়ো, আমলকি গুড়ো ইত্যাদি নিয়ে নেমে পড়লাম থিম এর সাথে মিলিয়ে নাম দিলাম হামানদিস্তা।
আলহামদুলিল্লাহ প্রথম ৩ দিনেই পেইজ এর নাম আর অর্গানিক আইটেম গুলো সবাই খুব ভালো ভাবেই এক্সেপ্ট করেছে। পুজি ম্যান পাওয়ার সব কম ছিলো ১ বছরেই পুজি, ম্যান পাওয়ার,ক্লাইন্ট ৩টাই বেড়েছে। ট্রেডলাইসেন্স,নিবন্ধিত লগো ও করিয়েছি। ওয়ার্কিং নারীরা, হোম মেকার নারীরা হামান্দিস্তা থেকে খুব সহজে নিজেরও যতœ নিতে পারছে। এইটুকুই আমার সবথেকে বড় পাওয়া।
আমরা চার বোন, বাবার যেন কোন ছেলে সন্তানের অভাব বোধ না হয় সেই জন্য আমার এই সংগ্রাম। আমি মনে করি, নারীপুরুষ কেবল দুটি বিশেষণ।
ওভ ঃযবৎব রং ধ রিষষ ঃযবৎব রং ধ ধিু.
|
|
|
|
কে এ তানিস : নাম: শিম্মি’স রেসিপি, স্বত্ত্বাধিকারী : সাবিহা আফরোজ খানম (শিম্মি), এম. এম. ওবায়েদ কাদের সুলতান (অপু সুলতান), ফোন: ০১৭০৪৮০০৩০৯১১ ফেসবুক পেজ :www.facebook.com/Shimmis Recipe . হাইজেনিক ফুড ফর অল এই মুলমন্ত্র নিয়ে,শিম্মি’স রেসিপি –এর যাত্রা শুরু আগষ্ট ২০১৫ তে।
শুরু থেকেই কেক, কাপকেক, ব্রাউনি, কুকি, ম্যাকারন সহ নানা রকম বেকিং আয়টেম তৈরী করে আসছে শিম্মি স রেসিপি। কাষ্টমাইজড প্রোডাক্ট কনসেপ্টে বিশ্বাসী শিম্মি স রেসিপি এপর্যন্ত জয় করেছে অগনিত মানুষের হৃদয়। বেকিং আয়টেমের পাশাপশি ক্যাটারিং সহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন আয়টেমে শিম্মিস রেসিপি–এর রয়েছে দক্ষ অভিজ্ঞতা। সবসময় নতুন কিছু করার জন্য সচেষ্ট শিম্মিস রেসিপি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কেক-এর সাথে সংযুক্ত করেছে,লাইট এন্ড মিউজিক অন কেক,মুভিং এনিমেশন কেক,ওয়াটারফল কেক,অবজেক্ট মোশন কেক এবং কাষ্টমাইজড প্রিন্টেড কেক বোর্ড । এছাড়া কাষ্টমাইজড ডিজাইন অন ডিমান্ড তো আছেই। পিক এন্ড পে –এর পাশাপশি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করে শিম্মিস রেসিপি খাবার পৌছে দিচ্ছে কাঙ্খিত গন্তব্যে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে ও যাচ্ছে এসব পণ্য। শিম্মি স রেসিপি এর ফাউন্ডার শিম্মি পেশায় একজন গৃহিনী, অপু সুলতান পেশায় সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার। মিরপুর অরিজিনাল ১০ ইনডোর ষ্টেডিয়ামের বিপরীতে শিম্মিস রেসিপি এর ষ্টুডিও ছুটির দিনসহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা খাকে।
|
|
|
|
কে এ তানিস:
আমি সাদিয়া মিরাজ, নিজে কিছু একটা করবো এই ইচ্ছা ছোট থেকেই ছিল। গল্পে গেেল্প শুরু হলো আমার ব্যবসা করার ইচ্ছা, মায়ের কাছে থেকে শুনতাম আমার নানির গল্প কিভাবে তিনি জামা তৈরী করতেন নিজে নিজে, কিভাবে ঘরের ব্যবহারী জিনিসগুলা দিয়ে সুন্দর করে হাতের তৈরী জিনিস বানাতো আমার নানী (মৃত) আনোয়ারুন নেসা। আমার নানী শুধু আমার আইডল না আমার জন্য অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণা।
ছোটবেলা থেকে শুরু হলো আমার এই যাত্রা। স্কুল জীবন থেকে মেলায় দোকান নিতাম নিজের পকেট মানি দিয়ে ছোট ছোট এক্সজাবিনেশন গুলো করতাম চারুকলা একাডিমি থেকে। আমি আমার স্বপ্ন পুরন করতে কখনো কারো সহযোগিতা পাইনাই, আমার বাবা আমার সাথে এই নিয়া খুর রাগ করতো। অবশেষে আমার বিয়ের পর আমার স্বামী মি. সোলেয়মান আমার পাশে দাড়ায় এবং আমার সব ইচ্ছা আমার সব স্বপ্ন পুরন করে, ২০১৪ থেকে আমার ব্যবসা Sadia`s Collection শুরু করি বুটিকস হাউস দিয়ে এবং হাতের কিছু জিনিস তৈরী করে অল্প কিছু পুজি দিয়ে। আস্তে আস্তে আমার ব্যবসার লাভের কিছু টাকা দিয়ে আমি কিছু জামার ডিজাইন করি আমার স্বামী কে দেখালে আমার স্বামী আমার নিজের ডিজাইন করা জামা দেখে খুব খুশি হন এবং আমকে বলে তুমি পারবা তোমাকে দিয়েই হবে, তুমি একটা অনলাইন সপ খুলো এই বলে সে আমাকে Sadia`s Collection এর নামে অনলাইন সপ খুলে দেন। ৫বছর হয়ে গেছে আমার ব্যবসা । আল্লাহর কাছে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে সব সময় এমন সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমি আমার আব্বু আম্মু কাছে কৃতজ্ঞ সারাজীবন থাকবো , আমি যখন যা চেয়েছি আমার আব্বু আম্মু আমাকে সব সময় তাই দিয়ে আসছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো অনেকদূর পারি।
|
|
|
|
কে এ তানিস:
সফলতার জন্য কেউ হাজার মাইল পাড়ি দেয় আবার কেউ কেউ ঘরে বসেই নিজেকে প্রমাণ করে।
আমি শাহিদা সুলতানা ববি Jb s catering service এর উদ্যোক্তা। ২০১৪ সালে অনলাইন এ আমি প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলাম JB versatile এর মাধ্যমে সেটা ছিল আমার প্রথম পাকিস্তানি ড্রেস এর ব্যবসা। আলহামদুলিল্লাহ অল্প সময় এর মধ্যে আমি বেশ সফলতা অর্জন করেছিলাম। কিন্তু সেই বিজনেস এ আমার প্রতিভা বিকাশের কোন সুযোগ ছিলো না। তাই আমি সেই বিজনেস কে নিজের মন থেকে ভালোবাসতে পারিনি। বছর খানিক যাবার পর আমি সে বিজনেস কে ড়ভভ করে সাংসারিক জীবন নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমি রান্না করতে খুব ভালোবাসি আর মানুষ কে খাওযাতেও খুবই ভালোবাসি। আমার রান্নার প্রশংসা আমার আত্মীয়স্বজন আমার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে ব্যপক ভাবে ছড়াতে থাকে। কেউ আমাকে restaurent আবার কেউ catering দিতে বলে। একদিন হুট করে ২০১৮ সালে catering page খুলে বসলাম। শুরুতেই এত বেশী সারা পেলাম যে এখন jbs catering আমার জীবনের লক্ষ্য এবং পেশা। খুব অল্প সময়ে আমি সাড়া পেয়েছি কারন আমি এই ব্যবসা কে সেবা হিসেবে দেখেছি। আমি এই ব্যবসার মাধ্যমে মানুষদের hygienic healthy food এর সেবা দিতে পারছি এবং কিছু লোক এর কর্মসংস্থান এর ও ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আমার এই ব্যবসার সফলতার পেছনে ৬টি কারণ রয়েছে quality, quantity, reasonable price, delivery timing, tasty hygienic food, and বিষষ behaviour এই বিষয় গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে maintain করা হয়। এই ভেজাল এর ভীর এ আমি মানুষ কে fresh and healthy খাবারের সেবা দিতে পেরে খুবই গর্বিত। আসলে আমার কাস্টমারদের দোয়া এবং ভালোবাসার কারনে আমি এবং jbs catering আজ সফলতার মুখ দেখেতে পরেছি। আমি যেটা মনে করি একজন সফল উদ্দ্যগত্তা হতে হলে honest.. Hard-worker and patient থাকতে হবে। আশা করি সবাই আমার পাশে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
|
|
|
|
কে এ তানিস:
আমি লায়লা শারমিন মৌ। ছোটবেলা থেকে খুব পড়ুয়া হিসেবে খ্যাতি আছে আমার।কিন্তু সে অনুযায়ী নিজেকে গড়তে পারিনি। গাহর্স্থ্য অথর্নীতি কলেজ থেকে এম.এস করেছি, বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্পের উপর। আমার জগৎ আমার তিনজন দুষ্ট ছানা নিয়ে। ওদেরকে ঘিরেই আমার দিনরাত। গেল বছর খুব ছোট পরিসরে শুরু করেছি আমার অনলাইন ব্যবসা। আমার ব্যবসার নাম
Safriana`s Touch। আমি শিখেছি প্রতিদিন।
অনেক নতুন কিছু, করছি যা আমি ভাবিনি করতে পারবো। যারা শুরু থেকে পাশে আছেন এবং যারা প্রতি নিয়ত পাশে আসছেন, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার চেনা মুখ গুলো আমাকে দৃঢ়তা দিয়ে যাচ্ছে অবিরাম আমার কাজে। আর যাদের কাছে আমি একেবারেই অচেনা তাদের ভালবাসায় আমি সত্যিই ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত। এভাবে আমাকে ভালবেসে অনুপ্রেরণা যোগাবেন সবাই আশা রাখছি।
আমার ব্যবসার মূল লক্ষ্যেই হচ্ছে উন্নতমান, আরামদায়ক আর ভিন্নতা ।
আস্তে, আস্তে নিজের মেধাকেও তুলে ধরবো সবার মাঝে।
|
|
|
|
কে এ তানিস :
জাকিয়া সুলতানা দ্যূতী, পিতা- মরহুম হারুনুর রশীদ, মাতা- মরহুম মোর্শেদা বেগম। স্কুল- মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরী ইন্সটিটিউট, কলেজ ঢাকা কমার্স কলেজ, ভার্সিটি- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড টেকনোলজি। তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা, তিনি নিজের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প তুলে ধরলেন প্রভাতী খবরের কাছে। তিনি অনলাইনে ব্যবসা করেন । জাকিয়া দ্যূতী বলে আমি যখন বিবিএ ফাস্ট ইয়ারে পড়ি তখনই মাথায় চিন্তা আসে ব্যবসা করার। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বানিজ্যবিভাগ নিয়ে লেখাপড়া করার সুবাদে আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল ব্যবসা নিয়ে সরাসরি কাজ করবো। জামা কাপড়ের উপর নেশা থাকার কারণে এটা দিয়েই ১০/১১/২০১৭ শুরু করি আমার স্বপ্নের ব্যবসা। তখন আমি আমার পরিবার থেকে কোন সহযোগিতা পাইনাই। নিজের জমানো টাকা আর আমার টিউশনি করানোর কিছু টাকা দিয়ে মাত্র ৫০০০ টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করি। ব্যবসার কৌশল আরো ভালভাবে শিখার জন্য মেজর মার্কেটিং এর উপর বিবিএ করি। আমার ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা আমার কাজের জন্য আমাকে অনেক অনুপ্রানিত করতেন। শিক্ষকদের প্রসংশায় আমাকে আমার কাজে আরও সাহস এনে দেয় । এরপর জামার পাশাপাশি আমি শাড়ী নিয়ে কাজ করি। ব্যবসার বেশিরভাগ কাজ আমি নিজেই করি। ডেলিভারি ঢাকার মধ্যে আমি নিজেই করি আর ঢাকার বাইরে কুরিয়ার করি। আমার কাজ করতে ভাল লাগে তাই নিজের কাজগুলো নিজেই করি। পরিশ্রম করলে একসময় ভাল ফল আসবেই আমার বিশ্বাস । আমার ব্যবসার নাম “বিজয়িনী” আলহামদুলিল্লাহ নামটা এখন কম বেশি সবাই চেনে। আমার মূল উদ্দেশ্য সেল বাড়িয়ে মূলধন যোগানো নয়, আমার উদ্দেশ্য হলো বিজয়িনী নামটা সবার মনে বসিয়ে দেয়া। এখন সবাই যখন বিজয়িনী বলে আমাকে ডাকে অনেক শান্তি পাই। সবাই দোয়া করবেন যেনো একদিন অনেক বড় হতে পারি, এবং অনলাইন ব্যবসা থেকে বড় করে শোরুম দিতে পারি।
|
|
|
|
কে এ তানিস :
আমি মালিহা সুলতানা সায়মা
*আমার একটা অনলাইনে পেইজ রয়েছে “হিজাবি অনলাইন শপ”
*বর্তমানে আমি বিবিএ শেষ করলাম মার্কেটিং ডির্পাটমেনট থেকে
*আমি যখন বিবিএ সেকেন্ড ইয়ার এ পড়ি তখন আমি আমার কিছু জমানো টাকা/টিউশনির টাকা/আব্বুর দাওয়া হাত খরচ মাত্র ৩০০০টাকা দিয়ে শুরু করি অনলাইন বিজনেস। আমার একটা ফ্রেন্ড আমাকে পেজ ওপেন করে দেয়। বাসার সবার থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু হিজাব পিন কিনি, ণড়ঁঞঁনব দেখে দেখে বানানো শিখি, ছবি তুলে পেইজে এ দেই তারপর খুবই দ্রæত সেল হয়ে যায়। এই উৎসাহ থেকে আমি পিন, হাতের বানানো রিং , তারপর হিজাবের বিজনেস শুরু হল। পেইজ বুস্ট/পোস্ট বুস্ট ছাড়াই আমার সেল ও লাইক বেড়ে যায়। হঠাৎ পড়াশুনা আর পরীক্ষার জন্য আমি পেইজ খুব বেশী সময় দিতে পারিনি,কারন লুকিয়ে করতাম,আমার বিবিএ ৩য় বর্ষ আমি পেজে এক্টিব থাকতে পারিনি। ৪র্থ বর্ষ
থেকে আমি আবার নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু করি এখন হিজাব পিন,হিজাব,কোটি,আবায়া,সার্গ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সাথে সম্পর্ক থাকায় আমি ড্রেস অ্যান্ড এবং আরও অনেক আইটেম সেল দিয়ে থাকি।
*এখনও আমার পেজ আমি বুস্ট করিনি তাও আল্লহামদুলিল্লাহ আমার লাইক ১১০০০ এর উপর এবং সেল ও হয় অনেক।
*এখন আমাকে সবাই সাপোর্ট করে,আমি বিভিন্ন পেজ এ স্পন্সর করে থাকি,বিভিন্ন নারী উদদ্যোক্তা ইভেন্ট এ গিয়ে থাকি। এই নিয়ে আমি ৫টি ক্রেস্ট পেয়েছি।
*আমার একটাই বিশ্বাস যে নিজের উপর থেকে বিশ্বাস কখনও হারানো উচিত না, যদি আমি ভাল কিছু করি তাহলে আমি পিছপা হব কেন। "আর মানুষ তো কথা বলবেই মানুষের কাজেই হলো কথা বলা"।নিজের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে বলব আমার মত যারা নিজে কিছু করে নিজের পরিচয় গড়তে চাও, একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মান অর্জন করো। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি আরো এগিয়ে যেতে পারি। ধন্যবাদ।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
বাণী অর্চনা, বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রীসরস্বতী পূজা আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত। তবে পঞ্জিকা মতে পঞ্চমী তিথি গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়ায় অনেক বাসাবাড়ি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদিনই পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই আজ রোববার সকাল ১০টার মধ্যেই পূজা শুরু করার বাধ্যবাধকতা আছে। সনাতন ধর্মালম্বিদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোস্তুুতে’ এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রণতি জানাবেন তারা। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু স¤প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা রোববার বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে মহাসাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে শুরু হবে পূজার্চনা এবং অঞ্জলি প্রদান। এছাড়াও সকালে হাতে খড়ি এবং প্রসাদ বিতরন করা হবে। সন্ধ্যায় আরতি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও হল জুড়ে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের বিদ্যার্থীরা পূজার আয়োজন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাত ১২ টা ১ মিনিটে প্রতিমা স্থাপন, সকাল ৯টায় পুস্পাঞ্জলি এবং পরে প্রসাদ বিতরন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোশাররফ হোসেন খান (এম এইচ খান) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আইএসপিআর বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বাধর্ক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মোশাররফ হোসেন খান। পরে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এম এইচ খান ১৯৭৩ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের পর্যন্ত নৌ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বৃহত্তম প্রশিক্ষণ ঘাঁটি বানৌজা ঈসা খানকে কমিশনিং প্রদান করেন। একই সঙ্গে নৌবাহিনীকে ‘নেভাল এনসাইন’ও প্রদান করা হয়। ১৯৩২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খান। এরপর ১৯৫৪ সালে নৌবাহিনীতে যোগ দেন তিনি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
সিলেটে এক সময়ের কিংবদন্তী ছাত্রনেতা, বালাগঞ্জের কৃতী সন্তান, সিলেট-২ (বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আজিজুর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দলীয় সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আজিজ (১৯৯৬-২০০১) বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি মহকুমার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নির্লোভ-নিরহঙ্কার শাহ আজিজ বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। মরহুমের মরদেহ সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কুচকুচি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান তার স্বজনরা।
|
|
|
|
আজম রেহমান,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডঃ আলহাজ্ব শওকত আলী’র সহধর্মিনি আলহাজ্ব হুসনেআরা বেগম (৮৮) বাদ্ধক্যজনিত কারনে তার নিজ বাস ভবনে শনিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক কন্ট্রোলার তসলিমা বানু ও জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের মা। মরহুমার নামাজে জানাজা রোববার বাদ জোহর ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরহুমার পারিবারিক গোরস্থান মুন্সিপাড়ায় দাফন করা হয়েছে।
|
|
|
|
প্রভাতী খবর ডেস্ক :
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও কানাডা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সামছুল হক বেলালের পিতার কোলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১)আগষ্ট শনিবার সামছুল হক বেলালের মাদার বাজারের ধনপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে দুপুর থেকে এ কোলখানি অনুষ্ঠিত হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ধনপুর গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের সামাজিক সংঘঠক,রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ কোলখানিত অংশগ্রহন করেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন-সম্পাদক ও সিলেট ২আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী,কানাডা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সামছুল হক বেলাল,দয়ামির ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ,ওসমানী নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজলু চৌধুরী, লুৎফুর রহমান (লালমিয়া),সাবেক মেম্বার ইউছুফ আলী, মুকুল ইকবাল, জলিল মিয়া, সিলেট এম,এ, জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ড.এনামুল হক, সাংবাদিক এম এফ আলী ফয়েজ,মোমিন আহমদ মামুন,ছাত্রনেতা রিপন মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সামছুল হক বেলালের পিতা হাজ্বী তফজ্জুল আলী গত (১৭)জুলাই সিলেট নুরজাহান হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
|
|
|
|
প্রভাতী খবর ডেস্ক :
সাবেক ছাত্রনেতা,সিলেট জেলা ছাত্রলীগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ (কানাডা) ও বর্তমান কানাডা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সামছুল বেলাল এর পিতা তফজ্জুল আলী, ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার
রাত ১০ : ২০ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)
গত বেশ কিছুদিন যাবত তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এরপর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সামছুল হক বেলাল, দৈনিক প্রভাতী খবর’কে জানান, লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে এসেছিলেন তার বাবা। তবে এরপরই তার ফুসফুসের ক্রিয়া বন্ধ হতে থাকে।
দ্রুত আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন তিনি।
উনার প্রথম নামাযে জানাজা সকাল ৯ : ০০ ঘটিকায় সাগরদিঘীর পাড় মৎস্য ভবন মাঠে এবং ২য় জানাজা বাদ জুম্মা গ্রামের বাড়ি মাদার বাজারে অনুষ্ঠিত হবে।শামসুল হক বেলাল, তার পিতার মৃত্যুতে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন,সবাই আল্লাহর নিকট উনার রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন, মহান আল্লাহ পাক যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন ।আমিন
|
|
|
|
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে ৭১জন নারীর মাঝে ঔষধী ও বিভিন্ন প্রকার ফলের চারা বিতরণ করেছেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসো জাতি গড়ি এজাগ। দুপুরে শহরের গোয়ালচামট রথখোলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা বিতরণ করেন পৌর কাউনসিলর আনিসুর রহমান চৌধুরী শাবুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন এজাগ এর নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, সোহেল খান, নাছিমা আক্তারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিতরণকৃত গাছের চারার মধ্যে ছিল আমলোকি, বয়রা, হরিতকি, সবেদা, পেয়ারা, লেবু, কামরাঙ্গা, আম, লিচু, কদবেল।
|
|
|
|
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ১৫ বান্ডিল ঢেউ টিন বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ, অতিসম্প্রতি উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের বারঘাটী মাটিয়াগজ গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ওই গ্রামের জনৈক প্রদীপ চন্দ্র বর্মন, মাধব চন্দ্র বর্মন, মালন রাণী, সিপেন চন্দ্র বর্মন ও গনেশ চন্দ্র বর্মন এর বসত বাড়ি সহ সহায় সম্বল অগ্নিকান্ডে ভস্মিভুত হলে ফায়াজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ¦ মনির হোসেনের অর্থায়নে গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ৩ বান্ডিল করে মোট ১৫ বান্ডিল ঢেউ টিন বিতরণ করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ধামোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউ টিন বিতরন করেন। এসময় তোড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান হাবিব আল আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ আনিছুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ কামরুজ্জামান কামু, এ রায়হান চৌধুরী রকি, ফায়াজ গ্রুপের প্রতিনিধি মোঃ মানিক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
জেলার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী সুমি আক্তার ১৭ বছর পর কন্যা হিসেবে তার পিতার স্বীকৃতি পেয়েছে। ১২ মে শনিবার রাত ১০টায় পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ৩ শত টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তার পিতা শরিফুল ইসলাম তাকে কন্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই কন্যা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পিতার অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত থেকে বঞ্চিত ছিল। সুমির জন্মের পর তার মা সেফালি বকুল কে ২০০১ সালে পিতা শরিফুল ইসলাম ডিভোর্স দেয়। পিতা-মাতা আলাদা হয়ে যাওয়ায় শিশু সুমি মায়ের কাছে থেকে যায়। পরবর্তীতে সুমির পিতা শরিফুল ইসলাম সুমিকে অস্বীকার করে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে পা রাখে সুমি। সুমির মাতা দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের স্বীকৃতির জন্যে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। তার মা হত দরিদ্র ও অসহায় হওয়ার কারণে বিষয়টি কেউ আন্তরিক ভাবে নেয়নি। সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপা’র সহায়তায় সুমি আক্তার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে পিতার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যে একটি লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.ডব্লিউ.এম. রায়হান শাহ্ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদনটি থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান এর কাছে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে থানা পুলিশের ডাকা মধ্যস্থতা বৈঠকে দফায় দফায় আলোচনার পর পিতা শরিফুল ইসলাম তার কন্যার স্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মফিজুল হকের অফিসে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ স্বীকৃতীকে চুড়ান্ত রুপ দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক, মানবাধীকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, আজম রেহমান, আজিজুল হক সহ অনেকেই সুমির পক্ষে অংশ নিয়ে সহযোগীতা করেন এবং সফল হন।
|
|
|
|
|
|
|