২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিটিআরসির উদ্যোগে এই কার্যক্রম চালু করা হয়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বিটিআরসি মিলনায়তনে গ্রাহকদের নিকট বাংলায় নোটিফিকেশন বা এসএমএস প্রেরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশিদ এবং বাংলা লিংক’র ভারপাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলায় এসএমএস বা নোটিফিকেশন রূপান্তরের পেছনের কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল; তা সত্ত্বেও সেটি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি মাতৃভাষা, মা-মাটি ও মাতৃভূমির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পিছিয়ে নেই। এমন কোন ডিভাইস বা যন্ত্র নেই যেখানে বাংলা লেখা যাবে না উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভ্বাক বলেন, ১৯৮৭ সালে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হওয়ার সময়ও বাংলার প্রকৃত রূপ ছিল না; অনেক বর্ণমালা বাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি নিজে সেই বর্ণগুলো যুক্ত করাই। এরপর ইন্টারনেটে ব্যবহার করার যেসব সংকট ছিলো সেসবও দূর করা হয়েছে। বাংলার এনকোডিং ও কীবোর্ডও এখন প্রমিত। তাই প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা কঠিন এই অজুহাত দেয়ার কোন সুযোগ নেই। মন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের অহংকার। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু কেবল ভাষা আন্দোলন করে দেশটাকে গড়ে তুলেননি। তিনি বলেছিলেন ‘আমরা স্বাধীনতা পেলে আমাদের দাপ্তারিক ভাষা হবে বাংলা’ বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন। তিনি মুনির কীবোর্ডকে পূর্ব জার্মানীর অপটিমা কোম্পানির সহায়তায় অপটিমা মুনির টাইপ রাইটার যন্ত্রটি তৈরির ব্যবস্থা করেছিলেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি অফিস আদালতে বাংলা চালু করেছিলেন।