প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সারা দেশকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় আনলেই হবে না, ইন্টারনেটের উচ্চগতি নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার সকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে, ১৪৬টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ১০ মেগাবাইট গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক চালু করে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক চালু করার কাজ শুরু হয়েছে। ফ্রি ওয়াইফাই চালু হওয়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে এই ব্যান্ডউইথ পাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যান্ডউইডথের খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিনামূল্যেই।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবারই দাবি সব জায়গায় ওয়াইফাই জোন করে দেয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের, সেই কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন আরম্ভ করি তখন অনলাইন তো দূরের কথা ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট অ্যাকসেস পেত, এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটি মানুষকে অনলাইনে এনেছি। আমাদের তরুণদের যে দাবি সব জায়গা তাদের ওয়াইফাই করে দেয়া, সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হল সেটারই অংশ, সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ওয়াইফাই জোন করে দিচ্ছে। এই কাজ চলমান থাকবে। সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।
জয় বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনব। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা।
২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উদ্যোগে ‘ইন্সটলেশন অব অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি নেয়া হয়। এটি বাস্তবায়ন করছে বিটিসিএল। প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৫৮৭ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই দেয়া হবে। এ জন্য সরকার খরচ করছে ৪৫ কোটি টাকা।এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩টি, ময়মনসিংহে ৩৫টি, চট্রগ্রামে ১০৭, বরিশালে ৪৫, খুলনায় ৮৩, রাজশাহীতে ৮৫, রংপুরে ৫৬ এবং সিলেটে বিভাগে ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবগুলো বিভাগের এসব সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন লটে অপটিক্যাল ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সুবিধা সম্প্রসারণ করার কথা রয়েছে।